অতীতে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের সমুদয় অর্থ পরিশোধ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এমদাদুল হক।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে তিনি এ পর্যন্ত যতবার বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করেছেন তা হিসাব করে মোট ২ হাজার ৫৩০ টাকা পরিশোধ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ের একটি পেজে বিষয়টি পোস্ট দিলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, ৬৫ বছর বয়সী এমদাদুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামে। কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। এখন পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে।
এমদাদুলের ছেলে ইমরান বলেন, ‘বাবা সৎভাবে জীবন যাপন করেন। মানুষ মনে কষ্ট পায়, এমন কাজ তিনি কখনও করেননি। কারও কাছে এক টাকা ঋণ থাকলেও খুঁজে বের করে তিনি পরিশোধ করেন। আজ বাবার এই কাজের জন্য আমরা গর্বিত।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী কবির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘আজ (সোমবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টেশন কাউন্টারে এক ব্যক্তি আসেন। তিনি জানান, আগে বিভিন্ন সময়ে টিকিট না কেটে তিনি ট্রেন ভ্রমণ করেছেন।
‘তার কাছে হিসাব আছে, কতবার টিকিট না কেটে ভ্রমণ করেছেন। সে হিসাবে উনি ২ হাজার ৫৩০ টাকা টিকিট বা ভাড়া বাবদ রেলকে দিতে চান। তখন স্টেশন বুকিং কাউন্টার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর প্রভাতীর ২ হাজার ৫৩০ টাকা সমমূল্যের আসনবিহীন টিকিট ইস্যু করে দেয়া হয় তাকে।’
এ বিষয়ে এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি যত পুণ্যই করি না কেন, এই দেনার দায় তো কোনো পুণ্য দিয়ে শোধ করার উপায় নেই। তাই সরাসরি টাকাটা রেলের খাতেই জমা দিয়ে মানসিক প্রশান্তি পাই।’