নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে মারধর ও পিটিয়ে আহত করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হামলার শিকার হুমায়ুন কবির। এই মামলায় ফাহাদ সিকদার নামে ২৮ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের ডি বি রোডে মারধরের পর আহত ছাত্রলীগ নেতাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪৫ বছর বয়সী সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুরের মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ সুমন জানান, ঘটনার দিন বাড়ি নির্মাণকাজের জন্য ডিবি রোডে রড কিনতে যান হুমায়ুন। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির মুহুরীর নেতৃত্বে যুবলীগে নাম থাকা ফাহাদ, শাহাদাত, রায়হান ও সোহানসহ ১০-১২ জন হুমায়ুনকে পিটিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
হামলাকারীদের অনুপ্রবেশকারী আখ্যায়িত করে ফয়েজ আহমেদ আরও জানান, আহত হুমায়ুন বাড়ি নির্মাণকাজ করতে গেলে হামলাকারীরা তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এমপি সাহেব নব্য আওয়ামী লীগের লোকজনকে সব দায় দায়িত্ব দিয়েছেন। তারা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট বলেন, ‘হুমায়ুন কবির দলের দুঃসময়ে চৌমুহনী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিল। বিরোধীদলের আমলে রাজনীতি করেছে। বিএনপির আমলে নির্যাতিত হয়েছে। দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ও বারবার সে নির্যাতিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ের সিনিয়র নেতারাসহ এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগের স্থানীয় নেতারা ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন ইমন।
তবে বিষয়টি নিয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, ‘এটা তাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা। তারা আমার লোক। এখানে তাদের আভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় আছে। দুই পক্ষ মামলা করেছে। পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘ভিকটিম হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন। এই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’