চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করেছে। ভুক্তভোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা ঘটে।
সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগীর নাম মির্জা সফল প্রধান শাখা ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। অভিযোগ, তাকে মারধর করেছেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা।
মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন।
এই গ্রুপের কর্মীদের দাবি, সিএফসি গ্রুপের কর্মী মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মির্জা সফলকে মেরে আহত করেছে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের সদস্য ও শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ফোরকানুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ছোট ভাই মির্জা সফল প্রধানকে সিএফসি গ্রুপের কর্মী মেহেদীর নেতৃত্বে ১০/১২ জন অতর্কিত হামলা করে। ওর মাথায় দুই জায়গায় ফেটে গেছে। শরীরে রিকশার চেইন ও ধারলো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন নাছিরকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়। তাকে ধারালো কাঁটাযুক্ত চেইন দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দীন সুমন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।’
সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘একটা ছেলের ওপর আঘাত হয়েছে। আমরা এটাকে গ্রুপিং হিসেবে ধরছি না। মনে হচ্ছে, তাদের ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব ছিল। ছেলেটিকে ব্যাপক আঘাত করেছে। আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’