বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনব না: সিইসি

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৪

‘সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক চাই, ঢিমে তালে নয়। কেন চাই? সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। পার্টিরাই সারা বিশ্বে এই ভারসাম্য সৃষ্টি করে। তবে আমরা কাউকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনব না।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনবেন না।

তবে সব দলের অংশগ্রহণমূলক ভোটের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তাহলে ভোট ও রাজনীতিতে ভারসাম্য থাকে।

সোমবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘বিএনপির যে রাজনৈতিক কৌশল, আমরা কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের কৌশলের ওপর হস্তক্ষেপ করব না, করতে পারি না, সে এখতিয়ার আমাদের নেই। এখন বিএনপি যেটা চাচ্ছে, সে ব্যাপারে আমাদের কোনো রকম বাধা নেই।

‘তারা যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্বাচনটা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। এখন কিন্তু আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে, সে দায়িত্বের পথে আমরা এগিয়ে যাব। কালকে যদি আমাকে উচ্ছেদ করে দেন, হবে। সেটার জন্য আমি তো মর্মাহত হব না।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আবারও সেই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছে। তারা ২০১৮ সালের ভোটে এলেও এবার পুরোনো দাবিতে ফিরে গেছে। নানা কর্মসূচি নিয়ে দলটি মাঠে সক্রিয় থাকা অবস্থায় ছড়িয়েছে সংঘাত, সহিংসতাও।

নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক চাই, ঢিমে তালে নয়। কেন চাই? সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। পার্টিরাই সারা বিশ্বে এই ভারসাম্য সৃষ্টি করে। তবে আমরা কাউকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনব না।’

কমিশনের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখে বিএনপিকে ভোটে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচনটা অধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।…ইসি একা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’

দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে স্পষ্ট বিভক্তির মধ্যেও সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা বলেন সিইসি। বলেন, ‘অনেকে বিশ্বাস করেন, অনেকে করেন না এই মেশিন নিয়ে। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কি না সেটা নির্ভর করবে এটা পাওয়া যাবে কি না, তার ওপর। কারণ, এটার বেশির ভাগ পার্টস আসবে বিদেশ থেকে।’

ইভিএম পরীক্ষা করে কারচুপির সুযোগ পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি শনাক্তকরণের পর আঙুলের ছাপ দিলেই ছবি ভেসে আসবে। এরপর ব্যালট ওপেন হবে। ৪০ সেকেন্ড থাকবে। এর মধ্যেই ভোট দিতে হবে।’

তবে ভোটারের পরিচয় শনাক্তের পর গোপন বুথে অন্য কারও পক্ষে ভোট দিয়ে দেয়ার সুযোগ থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন সিইসি। বলেন, ‘সেই সংকটটা আমাদের মাথায় আছে। এ জন্য আমরা সিসি ক্যামেরা দেব।

‘আমরা কিন্তু কঠিন দায়িত্ব অর্পণ করব প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ওপর। কেউ যদি বৈধ বা অবৈধভাবে ভোট বাধাগ্রস্ত করে, তবে তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে ওই লোককে বের করে দেবেন।

‘তিনি না পারলে পুলিশ ডেকে বের করে দেবেন। তিনিও পারলেন না, পুলিশও পারলেন না, তাহলে ভোট বন্ধ করে দেবেন। এ ছাড়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তা যদি মাস্তানকে অ্যালাউ করেন, তবে শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছি।’

আগামী মার্চে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের হাতে স্বরাষ্ট্রসহ চারটি মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব নেয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওপর ইসির কর্তৃত্ব আছে। এতদিন হয়তো প্রয়োগ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় ন্যস্ত করার বিষয়টি এটা ইসির অধীনে হতে পারে না। এটা সংবিধানে বলা আছে। কাজেই আপনি যদি চান আমরা মন্ত্রী হব, এটা সংবিধান অ্যালাউ করবে না। যে ক্ষমতা আছে সেটাই প্রয়োগ করলে আমরা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে পারি।’

এ বিভাগের আরো খবর