বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:০৪

সমাবেশে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জে নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমা রাণী শীল বলেন, ‘তারা যেসব কাজ করেছে, সেজন্য তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেটা করব না। এখন সময় এসেছে, কীভাবে তাদের দমানো যায় সেটা নিয়ে ভাবার।’

আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন।

তাদের অভিযোগ দাবি, বিএনপি আন্দোলনের নামে সারা দেশে আগুন দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতন করেছে। আর এসব অপরাধের কারণেই তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

‘বিএনপি-জামাতের শাসনামলে হওয়া খুন, গুম, ধর্ষণ, অগ্নি সন্ত্রাস, বোমা হামলা ও নির্যাতন’ এর বিচার দাবিতে ‘মায়ের কান্না’ শীর্ষক এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এ সময় এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়

সমাবেশ থেকে সংগঠনটি আরও তিনটি দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো:

১. বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়’ সারাদেশে বোমা হামলা, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনে জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার;

২. ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যার অপরাধে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার;

৩. জঙ্গিবাদ, অগ্নি সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও বোমা হামলার ‘মদদদাতা’ তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা।

প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমা রাণী শীল বলেন, ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত যেসব নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো এদেশের মানুষ কখনোই ভুলবে না। ভুলতে পারবেও না।

সমাবেশে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জে নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমা রাণী শীল বলেন, ‘তারা যেসব কাজ করেছে, সেজন্য তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেটা করব না। এখন সময় এসেছে, কীভাবে তাদের দমানো যায় সেটা নিয়ে ভাবার।’

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে কাদের সঙ্গে মানায় জানেন? যারা টিকটক পার্টি, যারা হিরো আলমের মতো, তাদের সঙ্গে। বিএনপি এই টিকটকারকে দেশে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তারা মিছিল-মিটিংয়ে টিকটক করছে, আনন্দ উল্লাস করছে। এত সাহস ওরা কোথায় পায়?

‘সোনার বাংলায় তারা কীভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। কীভাবে তারা আনন্দ-উল্লাস করছে? বিএনপি-জামায়াতের এত শক্তি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি সেটা দেখছেন না?’

মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বহুদলীয় গনতন্ত্রের কথা বলেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে জিয়াউর রহমান তো একশতে একশ মেরে জয়ী হয়েছিলেন। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। এই বিএনপিকে রুখতে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দ্বিতীয়বার যুদ্ধে নামার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’

১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীনকে জিয়াউর রহমানের নির্দেশে ঢাকা ক্যান্টোনমেন্ট থেকে ধরে নিয়ে বেঙ্গল আর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে এক কাপড়ে ছয় মাস কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থান করেতে হয়। তখন আওমী লীগের পক্ষ থেকে এসব নির্যাতানের প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশে এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্তিত্ব টিকে আছে ‘

আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ‘বিএনপি জাতীয়তাবাদের কথা বলে। তাদের আবার কীসের জাতীয়তাবাদ। আমরা একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা সকল অস্ত্র জমাদিয়েছিলাম। কিন্তু পাকিস্তানের প্রেতাত্মা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত তাদের অস্ত্র জমা দেয়নি। খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। যারা মুক্তিযু্দ্ধকে মানে না, যারা জয় বাংলা স্লোগানকে মানে না তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাই বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস, গুম, খুন ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলনোর কারণে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলাম। আর তাদের যদি নিষিদ্ধ না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল মোর্শেদ খান, অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ভাস্কর্য রাশা, নাট্য অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনুও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর