বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গবেষণা বাড়াতে ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে আসছে নতুন আইন

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৪৭

মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদনের পর ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউট প্রতি বছর সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। এই ইনস্টিটিউটকে গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সে জন্য আইনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউট হিসেবে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।’

গবেষণা বাড়াতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের জন্য নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোববার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আইন, ২০২২-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি এনেছে। এটা আগে থেকেই ছিল। গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অডিন্যান্স, ১৯৬১-এর অধীনে এটি প্রতিষ্ঠিত ছিল।

‘তবে আগে ছিল সরকারি অফিস হিসেবে। এখন আইনের মধ্যে এটিকে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। খসড়া আইনে ২১টি ধারা রয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে ১৫ সদস্যের একটি ইনস্টিটিউশন পরিচালনা পরিষদ থাকবে। আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকবেন সভাপতি। একজন মহাপরিচালক থাকবেন, বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। আর মহাপরিচালক নিয়োগ দেবে সরকার।

‘এখন যেটা আছে সেটা পরীক্ষা করে যদি এটাতে না হয়, তাহলে পরিবর্তন করা হবে এবং এটার বাজেট তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন করে নেবে। বাজেটে তাদের আয়-ব্যয় দেখানো হবে। যদি সরকার থেকে মঞ্জুরির প্রয়োজন হয় সেটা দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউট প্রতি বছর সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। এই ইনস্টিটিউটকে গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সে জন্য আইনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউট হিসেবে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, সরকারি বিধিবিধানের মধ্যে না থেকে তারা স্বায়ত্তশাসিত বডি হিসেবে সুশাসনের ক্ষেত্রে যেন একটা বড় রোল প্লে করতে পারে।

‘সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ এবং বিশেষ করে সুশাসনের ক্ষেত্রে যে গবেষণার প্রয়োজন হয়, সেটা করবে। মূলত ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য থাকে গবেষণা কাজটা শক্তিশালী করা। এ কারণে আইনটি আনা হয়েছে। সনদগুলো ইনস্টিটিউট থেকে দেবে। তারা শুধু ডিপ্লোমা সনদ দেবে। মাস্টার্স বা গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট দেবে না।’

‘রির্সাচের জন্য খরচ সরকার দেবে না অন্য কোথাও থেকে আসবে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় টাকা এখান-ওখান থেকে আনে। তবে গবেষণার বিষয়টি ইনস্টিটিউটগুলোর কর্মপরিধির মধ্যেই থাকে। তারা যে বিভিন্ন কোর্স করাবে এবং নিয়োগ করে সেখান থেকে বড় অঙ্কের টাকা-পয়সা পায়। এখন তাকে সব টাকা ট্রেজারিতে জমা দিয়ে সেখান থেকে কাজ করতে হচ্ছে।

‘কিন্তু যখন ইনস্টিটিউট হয়ে যাবে, তখন সে বাজেটে শো করবে এবং অর্থ বিভাগের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় সভায় অনুমোদন করে নিজেরা খরচ করবে। তবে এর একটা হিসাব অর্থ বিভাগকে দিতে হবে। যদি কম পড়ে তাহলে তা নিয়ে নেবে।’

এ বিভাগের আরো খবর