ফরিদপুর শহরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসাসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বিকেলে শহরের কোর্ট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। সেখানে এসব অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসার সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে হামলা চালান। বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি অংশ আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অবস্থান নিলে সেখানেও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা আইনজীবী সমিতি ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পর আইনজীবী সমিতি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়েই সেখানে সমাবেশ করা হয়েছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল নিরস্ত্রভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে। আমাদের নিরস্ত্র করে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে৷ এ হামলায় পুলিশ ও প্রশাসনের ইন্ধন রয়েছে।’
সৈয়দ মোদাররেস জানান, হামলায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি নিজেও আহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ স্থলের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল। এমন সময় বিএনপির সমাবেশ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে আমার ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করি। বিএনপি বিনা উসকানিতে আমার ছেলেদের ওপর হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করেছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে এমন হতো না।’