সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকের নাম পরিবর্তন করে জাতীয় মানব কল্যাণ পদক ২০২২ করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোববার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালার নাম সংশোধনের একটা প্রস্তাব ছিল, এর আগে যখন পুরস্কার দেয়া হয়েছিল তখন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা বলেছিলেন, এই নামটা একটু পরিবর্তন করা দরকার।
‘সে জন্য তারা তিনটি নাম নিয়ে আসছিলেন, আজকে মন্ত্রিসভা আলাপ-আলোচনা করে এটার নাম পরিবর্তন করে জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২২ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে মাদার অফ হিউম্যানিটি পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছিল। আজকে মন্ত্রিসভা এটাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।’
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন শুরু হয়। এর পর থেকে দিনের পর দিন হত্যা, ধর্ষণ ও আগুনে পুড়িয়ে মারাসহ গণহত্যা শুরু করে মিয়ানমার সরকার।
এসব নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সে কারণে বিশ্বদরবারে ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতার মা’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র বিশ্বের শরণার্থী, সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যে মানবিকতা দেখিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
নেদারল্যান্ডসের নামকরা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন সাময়িকী তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিল ‘শেখ হাসিনা : মাদার অফ হিউম্যানিটি’। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন।