চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় এক যুবতী।
রোববার দুপুর ১টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে ওই তরুণীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
১৮ বছর বয়সী শ্রীমতী সাথী সরকার ভারতের নদীয়া জেলার রাধাকান্তপুরের পরিতোষ সরকারের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাইম।
তিনি জানান, দুই বছর আগে অনলাইনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে গিয়ে সাথীর সঙ্গে পরিচয় হয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমার গাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিমের ছেলে ওমর আলীর। পরে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন সাথী। ওই দিন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কুষ্টিয়ায় ওমর আলীর বাড়িতে যান তিনি।
পরদিন কুষ্টিয়া আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করেন সাথী। তার নাম রাখা হয় সাথী খাতুন। পরে ওমরকে তিনি বিয়েও করেন।
এ অবস্থায় চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে বিষয়টি জানতে পেরে ওমর আলীর বাড়ি থেকে সাথীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। পরদিন সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বয়স কম হওয়ায় সাথীকে কুষ্টিয়ার সামাজিক ও প্রতিবন্ধী ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। সেখানে ৬ মাস রাখা হয় তাকে।
ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাইম আরও জানান, সাথীকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখার পর বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনকে জানানো হয়। সেখান থেকে সাথীর বাবা-মাকে খবর দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনারের ডেপুটি কনসোলার দেবব্রতি চক্রবর্তী, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির উদ্দিন।
এ ছাড়া ভারতের পক্ষে বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার এস এ নগেন্দ্র হালদার, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ তেওয়ারি, নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাপিন মুখার্জি, গেদে কাস্টমস সুপার অজয় নারায়ণ রায়, কাস্টমস ইন্সপেক্টর প্রশান্ত কুমার ঘোষসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।