বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে ধানের চারা, অবরোধ-বিক্ষোভ

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:২১

শরিফপুর এলাকার কৃষক মুকবুল মিয়া বলেন,‘ক্ষেতে এখনই সারের প্রয়োজন, আমরা কোথাও সার পাচ্ছি না। দুই-এক দিনের মধ্যে সার না দিতে পারলে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাবে। আমার মতো বেশির ভাগ কৃষকই সার পাচ্ছেন না। তাহলে সার কোথায় গেল।’

জামালপুর সদরে সার না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকেরা। দুই-এক দিনের মধ্যে চহিদা অনুযায়ী সার না পেল ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

রোববার বেলা ১১টার দিকে শরিফপুর বাজার এলাকায় জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

কৃষকদের অভিযোগ, শরিফপুর বাজারে মেসার্স নাশাদ এন্টারপ্রাইজ থেকে সার বিক্রি করা হয়। কয়েক দিন ধরে কৃষকরা সেখানে ঘোরাঘুরি করেও সার পাচ্ছিলেন না। ওই বিক্রয় কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, রোববার সকালে সার বিক্রি করা হবে। শরিফপুর ইউনিয়নের কৃষকরা যথাসময়ে বিক্রয় কেন্দ্রে যান। কয়েকজন কৃষককে ৫ থেকে ১০ কেজি করে সার দিয়ে বিক্রয় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

কৃষকরা তখন ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ চালান। একপর্যায়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কৃষি কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কৃষকরা জানান, ইউএনওর উপস্থিতিতে ওই বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী মো. মোশারফ হোসেন সার বিক্রি শুরু করেন।

শরিফপুর এলাকার কৃষক মুকবুল মিয়া ৫ বিঘা জমির জন্য ইউরিয়া সার প্রয়োজন। তিনি সকাল থেকে ওই বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন।

তিনি বলেন, ‘ক্ষেতে এখনই সারের প্রয়োজন, আমরা কোথাও সার পাচ্ছি না। দুই- এক দিনের মধ্যে সার না দিতে পারলে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাবে। আমার মতো বেশির ভাগ কৃষকই সার পাচ্ছেন না। তাহলে সার কোথায় গেল।’

হামিদপুর এলাকার কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘যেখানে প্রয়োজন এক থেকে দুই বস্তা সার। সেখানে ওই দোকান থেকে মাত্র ৫ থেকে ১০ কেজি দিতে চাইতেছে। কয়েকজনকে সার দিয়ে তারা দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। তাই সবাই সড়ক অবরোধ করেছে। সার ছাড়া কৃষক বাঁচবে না। জরুরি ভিত্তিতে চাহিদা অনুযায়ী সার দিতে হবে। তা না হলে চারা নষ্ট হয়ে যাবে।’

নাশাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি এই বাজারে সাব-ডিলার। মূল ডিলার নবীন এন্টারপ্রাইজ। সেখান থেকে ২০ টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছি। তার মধ্যে ১০ টন উত্তোলন করা হয়েছে। এই ১০ টন বিক্রি শুরু করেছিলাম। অনেক কৃষক জড়ো হয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা শুরু করে দেন। পরে সার বিক্রি কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ইউএনওর উপস্থিতিতে সার বিক্রি শুরু হয়।’

এসব বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান জানান, কৃষকদের বিশৃঙ্খলার কারণে সার দেয়া বন্ধ রেখেছিলেন দোকানদার। পরে উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি শুরু করেন দোকান মালিক।

এ বিভাগের আরো খবর