এবার বর্ষাকাল ছিল প্রায় বৃষ্টিশূন্য। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে জুলাইয়ে।
ফলে বর্ষা মৌসুমে গ্রীষ্মের মতো তাপ সয়েছে দেশ। তবে ভাদ্রের তৃতীয় সপ্তাহে ভারি বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সোম ও মঙ্গলবার দিচ্ছে তেমন বৃষ্টির পূর্বাভাস।
কোনো এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ৪ থেকে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে বলে হালকা বৃষ্টি। ১০ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিকে মাঝারি বৃষ্টি, ২২ থেকে ৪৪ মিলিমিটারকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি বলা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটারকে ভারি বৃষ্টি ও ৮৯ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি ঝরলে অতি ভারি বৃষ্টি বলেন আবহাওয়াবিদরা।
শনিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে সিলেটে সর্বোচ্চ ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ অতি ভারি বৃষ্টির দেখা এরই মধ্যে পেয়েছে সিলেট।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামী দুই দিন (সোম ও মঙ্গলবার) মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
এর অর্থ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেকোনো সময় পড়তে পারেন বৃষ্টির বিড়ম্বনায়। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে সঙ্গে একটি ছাতা রাখা। আর যদি ভিজতে চান বৃষ্টিতে তবে বেরিয়ে পড়ুন খালি হাতেই।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত।