খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্টভাবে বলেছেন, আমরা যে খাদ্য রিপ্লেসমেন্ট করছি শুধু সেটার ওপর নির্ভর করা যাবে না। কমফোর্টেবল সিজন থাকলে আরও দু-একটা জায়গা থেকে খাদ্য কেনার ইনিশিয়েটিভ নেয়া হোক।
‘কোনো কারণে আল্লাহ না করুক চার বা পাঁচজনের মধ্যে কেউ যদি বলে আমি দিতে পারব না, তখন যাতে আমরা ঝামেলায় না পড়ি। সুতরাং প্রয়োজন হলে এক্সেস কিছু খাদ্য কেনাটা আমাদের জন্য কমফোর্ট সিনারিও হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রাশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে। ইতোমধ্যে এ পাঁচটি দেশ থেকে খাদ্য আমদানির চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- শুধু এর ওপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরও কয়েকটি উৎসকে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো জটিলতা না হয়।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে এই মুহূর্তে দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টনের মতো খাদ্যশস্য মজুত আছে। নভেম্বরে বিশ্বে যে খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা আছে, তাতে অনেক কমফোর্টেবল অবস্থায় আমরা আছি। আমরা চেক করে নিয়েছি, রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনোরকম অসুবিধা হবে না। মিয়ানমার থেকে আসছে আতপ চাল। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকেও চাল কেনার চুক্তি হয়েছে।’
সরকারের খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির প্রভাবে বাজারে চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘এর ফলে বড় একটি সংকট মার্কেট থেকে সরে গেছে। অ্যাপারেন্টলি দেখা যাচ্ছে এটি একটি ভালো ফল দিচ্ছে। যেহেতু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আগামী দুই মাস বা পরে আরও দুই মাস...।
‘তিন-চার মাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে। আজকের সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, অলরেডি এটা রিপ্লেস করার মতো চুক্তি হয়েছে এবং ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। সুতরাং আগামী নভেম্বর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের যে আশঙ্কা আমরা করছি, আল্লাহর রহমতে আমরা একটা কমফোর্টেবল সিনারিও পেয়েছি। আমাদের ওয়ার্ক অর্ডার এবং খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা এসেছে। রাশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে চাল এবং গম কেনা নিশ্চিত হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমদানির পাশাপাশি আমনও চলে আসবে। আমন কম হলেও একটা বড় অংশ আসবে। সবমিলিয়ে খাদ্য সিনারিওটা আল্লাহর রহমতে কমফোর্টেবল হবে।
‘যে পরিমাণ খাদ্য আমাদের গোডাউন থেকে যাবে, সে পরিমাণ খাদ্য এবং সেফটির জন্য আরও এক্সেস (অতিরিক্ত) কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন যে চুক্তি বা এমইউ হয়েছে তার জন্য আর খাদ্য সংকট হবে না হবে না আল্লাহর রহমতে।’