রাজধানীর রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ জন্য একজন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোববার সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদকের বিভাগের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ মুহাম্মদ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দুদকের পক্ষ থেকে একজন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দেবেন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশ পায়।
এতে বলা হয়, ঢাকায় মনিরুলের আটতলা বাড়ির পাশাপাশি বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার চারটি প্লট। এছাড়া বাড়ি, প্লটসহ মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে রমনা থানার ওসি বিপুল সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ব্যারিস্ট্যার সায়েদুল হক সুমন বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনার পাশাপাশি একটি রিট আবেদন করেন।
রিটের শুনানিতে আদালত সুমনকে এ বিষয়ে দুদকে আবেদন করতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ আগস্ট ব্যারিস্টার সুমন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগে জমা দেন।
ব্যারিস্টার সুমন তার আবেদনে বলেছেন, রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ১৯৯২ সালে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন। ২০১২ সালে তিনি পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান। চাকরি জীবনে বেশিরভাগ সময় তিনি ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন থানায় চাকরি করেছেন। একজন সরকারি চাকরিজীবী বৈধভাবে এত সম্পদের মালিক হতে পারেন না।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা কোনো মন্তব্যের বিষয় না। দুদক অনুসন্ধানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দিতেই পারেন। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে তো কথা বলা যাবে না। আগে কথা বলা গেলেও এখন কোন মতেই কথা বলা যাবে না। যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধেই দুদক তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে। এটা তাদের এখতিয়ার আছে।’