বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে দৃঢ় ও পরীক্ষিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান সংলাপের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যেসব ব্যবধান ও মতানৈক্য রয়ে গেছে, সেগুলোও ঘুচে যাবে।
সোমবার ভারত সফরের ঠিক এক দিন আগে দেশটির সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এই দুই দেশ প্রমাণ করেছে আলোচনার মাধ্যমে তারা মতানৈক্য ও মতভেদ নিরসনে যথেষ্ট সফল।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি ইস্যুতে বিশেষভাবে প্রশংসা করেন ভারত সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে পাশের দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নেন ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। নিজ দেশের শিক্ষার্থীদের নয়াদিল্লিতে ফিরিয়ে আনার সময় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও সঙ্গে আনার জন্য মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আটকা পড়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের আনার মধ্য দিয়ে স্পষ্টতই নয়াদিল্লি অকৃত্রিম বন্ধু দেশের মতো হাত বাড়িয়েছে। আমি নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।’
করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ভারতীয় সরকারের মৈত্রী টিকাদান কর্মসূচিরও প্রশংসা করেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমঝোতা ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ভারত সরকারের করোনাপ্রতিরোধী টিকা সরবরাহ কার্যক্রম নয়াদিল্লির এক বিশেষ প্রশংসিত উদ্যোগ। এমন যথার্থ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রজ্ঞা।’
এ সময় ভারতকে পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নয়াদিল্লি প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে এবং এরপর বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে এগিয়ে আসে দেশটি।’
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের জনগণের স্বার্থেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা উচিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কি না, সে ব্যাপারটি তার নিজের ও দেশের মানুষের চাওয়ার ওপর নির্ভর করছে।
জয় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। সুতরাং রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার ব্যাপারটা তার ওপরই নির্ভর করছে। সে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’