পুলিশ পরিচয় দিয়ে নারী শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেলে উঠতে বলতেন তিনি। নির্জন স্থানে নিয়ে ছিনিয়ে নিতেন জিনিসপত্র। সবশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর কাছ থেকে ছিনতাই করে গ্রেপ্তার হলেন শাকিল আহমেদ রুবেল।
রোববার দুপুরে রাজধানীতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, রুবেল কমপক্ষে দেড় হাজার ছিনতাইয়ে জড়িত ছিলেন। ছিনতাইয়ের পর অন্তত ৫০ জনের সঙ্গে ‘অশালীন’ আচরণও করেছেন। তার মূল টার্গেট ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া মেয়েরা।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে নিয়ে যান রুবেল। সেখানে ছিনতাই করার পর ‘অশালীন’ আচরণ করার চেষ্টা করলে স্থানীয় এক ব্যক্তি দেখে ফেলেন। পরে তিনিই পুলিশে খবর দেন।
এরপর প্রধান সন্দেভাজনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ।
রুবেল ছাড়া ধরা পড়েছেন আকাশ শেখ, দেলোয়ার হোসেন ও হাবিবুর রহমান।
তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়্যারলেস সেট, দুটি পুলিশ স্টিকারযুক্ত মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ‘ঢাবির ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার আগে রুবেল গত ১২ আগস্ট উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর থেকে একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করেন। সেই মোটরসাইকেলে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ঢাবির ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে দিয়াবাড়ীতে নিয়ে ছিনতাই করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি রুবেলের বাড়ি গাজীপুর। তবে আরও দুটি ঠিকানা পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। রুবেল ঢাকায় কোনো বাসা ভাড়া নেয়নি।’
ডিবি কর্মকর্তা জানান, রুবেল রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে অবস্থান করতেন। তারপর মোটরসাইকেল ছিনতাই কিংবা ভাড়া নিয়ে ছিনতাই করতে বের হতেন।
রুবেলএখন পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে এক হাজার ৫০০টির বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে। ছিনতাইয়ের পর মেয়েদের সঙ্গে তিনি অশালীন আচরণ করতেন। তারা যেন পরে লোকলজ্জার ভয়ে অভিযোগ না করেন, এজন্যই এমন কৌশল।