বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকুন্দিয়ায় পুলিশের মামলায় আসামি বিএনপির দেড় হাজার

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৪

কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে এলে বাধা দেয়া হয়। তখনই তারা মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আমাদের ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় শনিবার বিকেল এবং রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.শাহ কামাল শনিবার রাতে পুলিশি কাজে বাধা, পুলিশ সদস্যের মারধরের অভিযোগ এনে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দীন ওরফে ভিপি কামালকে।

কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে এলে বাধা দেয়া হয়। তখনই তারা মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আমাদের ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

‘পুরো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পিকেটিং করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’

এর আগে পৌর সদরের সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা ছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে আদু পাগলার মাজার, গরুরহাটা ও মঠখলা রোড এলাকায়।

পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাকুন্দিয়াতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক।’

মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ অযথা আমাদের নামে মামলা করেছেন।’

পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো.ফরিদ উদ্দিন ওরফে ভিপি ফরিদ বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের অনুমতি না নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে আমাদের কোনো নেতাকর্মী ছিল না।

‘বিএনপি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মিথ্যা অভিযোগ করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই অযথা আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়।’

এ বিভাগের আরো খবর