বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুয়ার খুলল বঙ্গমাতা সেতুর

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:২২

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও যান চলাচল করতে পারবে রাত ১২টার পর থেকে, অর্থাৎ সোমবার মধ্যরাত থেকে।

পিরোজপুরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই সেতুর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তৃতা করেন।

বঙ্গমাতা সেতু এলাকায় পশ্চিম ও পূর্বপারে দুটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পশ্চিমপারে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পূর্বপারে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও যান চলাচল করতে পারবে রাত ১২টার পর থেকে, অর্থাৎ সোমবার মধ্যরাত থেকে।

আনন্দে ভাসছে বরিশাল-পিরোজপুর, খুলনাসহ দক্ষিণের প্রায় ১৬ জেলার কোটি মানুষ। এতে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বুক বাঁধছেন দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ।

সেতুটির মাধ্যমে তাদের ব্যাবসায়িক ও জীবনমানে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা-যশোর আঞ্চলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগের সঙ্গে খুলনা বিভাগের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপনসহ পায়রা সমুদ্রবন্দর, মোংলা সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবন্দ স্থলবন্দরকে সেতুটি সরাসরি সড়ক সংযুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

পি‌রোজপুর সদ‌রের বা‌সিন্দা জয়‌দেব সাহা ব‌লেন, ‘আমরা ব‌রিশাল বিভা‌গের ম‌ধ্যে থাক‌লেও বিভাগীয় শহর থে‌কে বি‌চ্ছিন্ন ছিলাম। যে কার‌ণে আমা‌দের তুচ্ছ কা‌জের জন‌্যও খুলনা যে‌তে হ‌তো। কিন্তু এখন সেতু হ‌য়ে যাওয়ায় আমরা ব‌রিশাল নগরীমুখী হ‌বো।’

খুলনা থে‌কে সেতু দেখ‌তে আসা আয়শা আক্তার মিনু ব‌লেন, ‘খুলনা থে‌কে ব‌রিশা‌লে যে‌তে আ‌গে প্রায় ৩ থে‌কে সা‌ড়ে তিন ঘণ্টা বা তারও বে‌শি সময় লাগ‌তে। কিন্তু এখন ম‌নে হ‌চ্ছে দুই ঘণ্টায় ব‌রিশাল থে‌কে খুলনায় আসা-যাওয়া করা যা‌বে। ফে‌রির কার‌ণে যে অ‌পেক্ষা ছি‌লে সেটার সমাপ্তি হ‌লো প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার কার‌ণে। পাশাপা‌শি খুলনা থে‌কে কুয়াকাটা যে‌তেও সময় ক‌মে যা‌বে কমপ‌ক্ষে এক ঘণ্টা।’

ব‌্যবসায়ী আবুল ফজল ব‌লেন, ‘খুলনা ও ব‌রিশাল বিভা‌গের জন‌্য আশীর্বাদ এই সেতু। এর কার‌ণে এই দুই বিভা‌গেই ব‌্যবসার প্রসার ঘট‌বে। খুলনা ও ব‌রিশা‌লে যাতায়া‌তের জন‌্য আর কো‌নো বিড়ম্বনা নেই।’

সেতুটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তরের মধ্য দিয়ে বেকুটয়া পয়েন্টে এই সেতুর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করেন। এ বছর ‘চায়না রেলওয়ের ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ রিকনাইজেন্স ডিজাইন ইনস্টিটিউট এ সেতু নির্মাণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘প্রায় এক কিলোমিটার মূল সেতুর উভয় প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০০ মিটার। ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিলারের ১৩.৪০ মিটার প্রস্থের এই সেতুর পিরোজপুর ও বরিশাল প্রান্তে এক হাজার ৪৬৭ মিটার সংযোগ সড়কসহ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে আরও দুটি ছোট সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

‘এ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে। সেতুটি ১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এটি বক্স গার্ডার টাইপের সেতু। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার এবং এপ্রোচ সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৯৫ মিটার। এ ছাড়া সেতুর দুই পাড়ে রয়েছে এক হাজার ৪৬৭ মিটারের এপ্রোচ সড়ক।’

এ বিভাগের আরো খবর