বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অমূল্য উপহার

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০৭

‘আমার কাছে এটা হচ্ছে সব থেকে অমূল্য সম্পদ। চা শ্রমিক ভাই-বোনেরা চার আনা, আট আনা করে জমিয়ে আমাকে এই উপহার দিয়েছেন। এত বড় সম্মান, এত বড় উপহার আমি আর কখনও পাইনি।’

দুটি সোনার বালা আবেগতাড়িত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। জীবনে সবচেয়ে বড় উপহার হিসেবে অভিহিত করেছেন চা শ্রমিকদের দেয়া এ সোনার বালাকে।

শনিবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। সুখকর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি দু’হাত তুলে দেখান হাতে থাকা সোনার বালা, যা চা শ্রমিকদের দেয়া।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা গণভবনে আমার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আমার জন্য সোনার চুড়ি উপহার নিয়ে এসেছিলেন। সেই উপহার এখনও আমি হাতে পরে বসে আছি।

‘আমি কিন্তু ভুলিনি। আমার কাছে এটা হচ্ছে সব থেকে অমূল্য সম্পদ। চা শ্রমিক ভাই-বোনেরা চার আনা, আট আনা করে জমিয়ে আমাকে এই উপহার দিয়েছেন। এত বড় সম্মান, এত বড় উপহার আমি আর কখনও পাইনি।’

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে আবেগ আপ্লুত হন চা শ্রমিকরা।

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছিলেন চা শ্রমিকরা। টানা ১৮ দিন কর্মবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী তাদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করেছেন। শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য। সে সুযোগ হয়েছে শনিবার বিকেলে।

দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়ে শ্রমিকরা আবেগে ছিলেন দিশেহারা। তা শতগুন বাড়িয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতাপূর্ণ নানা বক্তব্য ও স্মৃতিচারন।

চা শ্রমিকরা নিজেদের দাবি জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিজেদের অনুরাগ ও আস্থার কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের চা শ্রমিকরা, যাদের ব্রিটিশরা একসময় নিয়ে এসেছিল, তাদের অমানবিক অত্যাচার করত, খাটাত। জাতির পিতা শেখ মুজিব টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পরে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেন এবং পরবর্তীতে তাদের নাগরিকত্ব দেন, ভোটের অধিকার দেন।

‘ভোটের অধিকার পেয়েছে, নাগরিকত্ব পেয়েছে, কিন্তু তারা ভূমিহীন থাকবে, এটা তো হতে পারে না। সকলের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ আমি করেছি। আমার আর যত নাগরিক তাদের সাথে একই সঙ্গে … কারণ হিজড়া, বেদে অন্য যারা ভাসমান প্রত্যেককে আমি আলাদা করে ঘর করে দিচ্ছি, তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এখানে আমার চা শ্রমিকরা অবহেলিত থাকবে, এটা কখনও হতে পারে না।’

এ বিভাগের আরো খবর