লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রত্যাহার ও বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের একটি অংশ।
থানায় ডেকে এনে মিজানুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনভর নির্যাতনের প্রতিবাদে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় ওসি’র বিচার ও প্রত্যাহার না হলে আত্মহত্যারও হুমকি দেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ কর্মী।
শনিবার রাত ৯টার দিকে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ মেলভিন অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তাই তিনি জাতীয় শোক দিবসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে অংশ নেন মিজানুরসহ কয়েক শ নেতাকর্মী। এতে কিছু নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি গোলাম রসুলকে দিয়ে মিজানুরকে বাড়ি থেকে থানায় ডেকে এনে নির্যাতন করায়। পাশাপাশি তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আহম্মেদ মেলভিন বলেন, ‘কালীগঞ্জে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। ওসি নিজেই মাদক সেবন করেন কি না এজন্য তার ডোপ টেস্ট করা প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী মিজানুর বলেন, ‘আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে থানায় আটকে রেখে নিযার্তন করেছেন ওসি। ছাত্রলীগ করা নাকি আমার … ভেতরে ঢুকিয়ে দেবে।’
ছাত্রলীগের ওই কর্মী আরও বলেন, ‘যদি আমার নির্যাতনের জন্য ওসি গোলাম রসুলের বিচার না হয়, তাহলে ছাত্রলীগ করা কি আমার অপরাধ? আমি ঘোষণা দিচ্ছি যদি তার বিচার না হয় তাহলে আমি আত্মহত্যা করব। আমার মৃত্যুর জন্য ছাত্রলীগই দায়ী থাকবে।’
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্যাতনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের সঙ্গে আলোচলা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে কি পদক্ষেপ নেয়া হল।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ওসি গোলাম রসুল বলেন, ‘ওই ছাত্রলীগ কর্মী মিজান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী কিছু পোস্ট দিলে আমরা তাকে বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজতেছিলাম। তবে তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।’