বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিশালে এলাকাবাসীর ওপর মাদক কারবারিদের হামলা

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:৩৬

স্থানীয় বাসিন্দা ফ‌য়েজ বলেন, ‘মাদক কারবারিদের হামলার পর স্থানীয় কয়েকশ’ নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে ব‌রিশাল মে‌ট্রোপ‌লিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’

বরিশাল নগরী‌তে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় স্থানীয়দের ওপর হামলা হয়েছে। একইসঙ্গে পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছেন হামলাকারীদের স্বজনরা। এ ঘটনায় স্থানীয় একাধিক যুবকসহ এক মাদক কারবারি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার বিকেল সা‌ড়ে ৪টার দিকে বরিশাল নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের খালেদাবাদ কলোনি ও আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকায় গোলাম শেখের মেয়ে সাথী, আনু, আনুর স্বামী রফিক, ছেলে আরমান শেখসহ বেশ কয়েকজন মাদকের কারবার করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে বরিশালের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। এসব মাদক কারবারির কারণে এলাকার তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এলাকার লোকজন তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না।

আলম বলেন, ‘আজ (শনিবার) দুপুরের পর আরমান শেখ ও তার স্বজনরা একটি নিরপরাধ ছেলেকে মারধর করছিল। এ সময় আমার ছেলে রাতুল তাদের কাছে ওই ছেলেটিকে মারধর করার কারণ জানতে চাইলে তাকেও প্রথমে মারধর ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।’

আহত রাতুল ও আরিফ জানান, বাসার সামনে ঘোরাঘুরি করায় ওই ছেলেটিকে মূলত আরমান শেখ ও তার পরিবারের স্বজনরা পুলিশের সোর্স মনে করে বেদম মারধর করে। মারধর করতে না করলে তারা ব্যবসা করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় রাতুল ও আরিফ ছাড়াও ব্যবসায়ী আরমান, ইমরান, ইব্রাহিমসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে মাদক কারবারি আরমানসহ তার স্বজনরা পুলিশের ভয় দেখায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ফ‌য়েজ বলেন, এই ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকশ’ নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে বিচারের দাবিতে নগরীর আমতলার মোড়ে ব‌রিশাল মে‌ট্রোপ‌লিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও ক‌রে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে বাসা থেকে তাৎক্ষণিক কার্যালয়ে এসেছি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদকের কারবার করছে। আর সে কাজে সহায়তা করার জন্য স্থানীয়দের চাপ দেয়া হয়ে থাকে। প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অভিযোগগুলো জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ-খবর নিয়েছি। স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেছি, ওই এলাকাসহ বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোথাও মাদকের কারবার চলতে দেয়া হবে না। আমার আশ্বাসে তারা শান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

অপরদিকে আরমানের বাবা গোলাম শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় একটি ছেলের ঝামেলা হয়েছে। যে সমস্যার মীমাংসা না করে কিছু লোকজন ঘটনাটিকে উস্কে দেয়। পরে কিছু যুবক আরমানকে মারধর করে এবং আমাদের দোকানে ভাংচুর ও হামলা চালায়। এসময় দোকানে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর