বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি ফখরুলের

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:২১

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সব ক্ষেত্রে মিথ্যাচার অব্যাহত রাখলেও তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে প্রমাণ মেলে তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সচিত্র প্রতিবেদনে প্রমাণ মিলেছে যে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে শাওনকে হত্যা করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানোর ফল ভালো হবে না। সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যায় করলে যে শাস্তি পেতে হয় বাংলাদেশের পুলিশপ্রধান তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যুবদল নেতা শাওনসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার বিচার হবে। দেশের জনগণ একদিন প্রধানমন্ত্রীসহ এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশেরও বিচারের ব্যবস্থা করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশে গণতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠানো ও অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। মিডিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। এবারও একই পথে হাঁটছে। আবারও নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা ও হামলা করা হচ্ছে। পুলিশকে দিয়ে গুলি চালিয়ে বিএনপিকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি দলের নেতাকর্মীদের মাঠে থেকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।

সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাও বক্তব্য দেন।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশের মানুষ এবার কোনো টালবাহানা মেনে নেবে না। শুধু দেশের মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সরকার চাপে রয়েছে। তার প্রমাণ মিলেছে কয়েক দিন আগে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটের বক্তব্যে। দেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে উল্লেখ করে মিশেলের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব বিশেষ একটি বার্তা বহন করে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সব ক্ষেত্রে মিথ্যাচার অব্যাহত রাখলেও তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে প্রমাণ মেলে তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সচিত্র প্রতিবেদনে প্রমাণ মিলেছে যে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে শাওনকে হত্যা করেছে।’

নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়েরের কঠোর প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরাও মামলা করব। মামলায় কিছু হয় কি না তা এখন পুলিশপ্রধান ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। শর্তসাপেক্ষে পুলিশপ্রধানের জাতিসংঘের সমাবেশে যোগ দেয়া লজ্জার।’

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানান।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বিএনপি। এই চেষ্টায় দেশের গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাই।

স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে আর কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের আর বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না।’

বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে যায় সমাবেশটি।

এ বিভাগের আরো খবর