চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশই গুলি করে যুবদল কর্মী শাওনকে হত্যা করেছে।
শাওন যুবদলের প্রমাণিত ও পরীক্ষিত কর্মী দাবি করে তিনি বলেন, ‘শাওনকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে। সরকার সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।’
অবিলম্বে শাওন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ডা. শাহাদাত। অন্যথায় অচিরেই সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিযারি দেন তিনি।
শনিবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন নিহতের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এরপর বাদ আসর দলীয় কার্যালয়-সংলগ্ন জামে মসজিদে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা কখনও সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করি না। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা আমাদের শত্রু নন। আপনারা এই দেশের সন্তান। দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আপনাদেরও দায়িত্ব।
‘শুধু আওয়ামী লীগের কথা শুনে নিরীহ জনগণের ওপর গুলি করা আপনাদের দায়িত্ব নয়। অনুরোধ করব, আপনারা অন্যায় কোনো হুকুম মানবেন না। এই হত্যার জন্য একদিন না একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শাওনকে হত্যার কয়েক দিন আগে ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিমকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। শাওনের আত্মত্যাগ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা দলের জেলী চৌধুরী, কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, তাঁতী দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হকসহ অনেকেই।