দলকে সুসংগঠিত করার ওপর জোর দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বলেছেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও মানুষের ভালোবাসার নেতারা দাপট দেখান না, দাপট দেখান নব্য আওয়ামী লীগাররা।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে ঐতিহ্যবাহী ডেমরা থানাসহ ৬৪, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফর উল্লাহ বলেন, ‘এখন যারা নেতা হতে চান তারা বড় বড় গাড়ি হাঁকিয়ে চলার চেষ্টা করছেন, যা আওয়ামী লীগ পছন্দ করে না। ত্যাগী ও মানুষের ভালোবাসার পাত্ররা দাপট দেখান না, বরং দাপট তারাই দেখান যারা নব্য আওয়ামী লীগে বিভিন্ন পর্যায় থেকে এসেছেন।’
দল যাদের নেতা নির্বাচন করবে, তাদেরকেই মেনে নিতে হবে বলে নেতাকর্মীদের জানান তিনি।
সম্মেলনে বক্তব্যে ক্ষমতাসীন দলের এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আওয়ামী লীগে সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থানা পর্যায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাকে নির্বাচিত করবেন তাকেই মানতে হবে সবার।’
তা ছাড়া জনগণের পাশে থেকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতিই করলেই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতি সার্থক হবে বলে নেতাকর্মীদের বলেন তিনি।
তাই দলের পদ নিয়ে নেতাকর্মীদের উৎকণ্ঠিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাফর উল্লাহ বলেন, ‘আপনাদের কি দৌড় সালাউদ্দিনের কথা মনে আছে? তিনি শুধু দৌড়ের ওপরেই আছেন। ঢাকা-৫ আসনে তার সন্ত্রাসী রাজত্বের পতন ঘটিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণপ্রিয় নেতা আমাদের মোল্লা ভাই। তাই এখনও ডেমরায় নৌকার পাগল সবাই। আপনারা আওয়ামী লীগের পক্ষে দৌড়ানোর জন্য রেডি হয়ে যান এখনই।
‘যেকোনো মূল্যে দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে। আর প্রতিটি ওয়ার্ডে শক্তিশালীভাবে কমিটি গঠন করতে হবে। ইউনিট থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খাঁন মাসুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সহসভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক সম্পাদক এস কে বাদল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদস্য সালাউদ্দিন বাদল প্রমুখ।