মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গোলা বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায় পড়েছে। সেখানে দুটি গোলা অবিস্ফোরিত থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এসব গোলা এসে পড়ে।
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে, যা নাইক্ষ্যংছড়ি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আজ স্থানীয়রা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের একটি হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করতে দেখেছে। এ সময় তারা সীমান্তের কাছে দুটি মর্টার শেল ফেলেছে।’
বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। বিষয়টি নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলছে।’
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন,‘এ বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে রোববার ডেকে প্রতিবাদ করা হবে।’
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির অধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার আসে। ওই সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক ৮ থেকে ১০টি গোলা ছোড়া হয়। হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গোলা ছুড়তে দেখা যায়।
এর আগে ২৮ আগস্ট দুপুরের পর বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওই ঘটনায় কড়া জবাব দেয় ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ২৯ আগস্ট বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে নোট ভারবালের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন শনিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর আগে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।
‘দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকেনোট ভারবালের মাধ্যমে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। একইসঙ্গে তাকে সতর্ক করে বলা হয়, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’