বগুড়ার সদরে বাসা থেকে হোটেলে ডেকে নিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটকান্দি ব্রিজ এলাকার একটি খাবার হোটেলে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নারুলী ফাঁড়ির পরিদর্শক মাহমুদ হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৩০ বছরের ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টু ভাটকান্দি পশ্চিম পাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে। টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। আটক আয়নালের বাড়ি একই এলাকায়।
যে হোটেলে হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার মালিক মানিক মিয়া। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সকালে ঝন্টুসহ তিনজন হোটেলে এসে খিচুড়ি খাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর তারা পানি চান। পানি দেয়ার পর পরই সঙ্গে থাকা দুজন ঝন্টুর ওপর হামলা চালান। তখন ভয়ে আমরা সরে আসি।
‘ওই দুজনের মধ্যে একজনকে আমি ভালোভাবে চিনি। তার নাম মমিন। আরেকজনকে চিনি না।’
তবে কী দিয়ে ঝন্টুকে মারা হয়েছে, তা বলতে পারেননি মানিক।
নিহত ঝন্টুর বাবা আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে মমিন এসে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওরা একসঙ্গে টাইলসের কাজ করে। হোটেলে বসে ছেলের সঙ্গে ওরা খেতে বসে। এ সময় তারা ঝন্টুকে কোপাতে শুরু করে। তখন আরও কয়েকজন হোটেলে ঢুকে আমার ছেলেক কুপিয়ে চলে যায়। কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার জানান ঝন্টু মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর আগে আমার ভাই শাহীনকে বালু ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার হোতা মিঠু, রহমান, মাসুদ এরাই আমার ছেলের হত্যায় জড়িত।’
পরিদর্শক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘সকালে হোটেলে ঝন্টুর সঙ্গে তারাও নাশতা খেতে হোটেলে গিয়েছিল। খাওয়ার সময় তাকে কোপানো হয়। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ঝন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘ঘটনার পর স্থানীয়রা আয়নাল নামে এক যুবককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে জানিয়ে মাহমুদ হাসান আরও বলেন, ‘তারা সবাই একসঙ্গে কাজ করেন। আবার তাদের মধ্যে বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলাও আছে। মাছ ধরার কথা উঠলেও কোন জলাশয় থেকে আর কবে মাছ ধরেছে, এমন ঘটনা জানা যায়নি।’