কুষ্টিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শিশুর উদ্ধারকাজে নেমেছে খুলনার ডুবুরিদল।
ঘোড়াই এলাকা থেকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে চারজনের ওই ডুবুরিদল নদীতে উদ্ধারকাজে নামে।
ডুবুরিদলের দায়িত্বে থাকা সাইদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডুবুরি মো. নবী জানান, ঘোড়াই ঘাট থেকে ভাটিতে ডুবে যাওয়া নৌকাটি ডুবে আছে। এক প্রান্ত কিছুটা পানির ওপরে ভেসে আছে। স্থানীয় কুমারখালী স্টেশনের ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে খুলনা থেকে আসা চার সদস্যের ডুবুরিদল নৌকা করে প্রথমে ডুবে যাওয়া ওই নৌকার কাছে যায়। সেখানে তিন ডুবুরি পানিতে নামলেও ফিরে আসেন খালি হাতেই।
তিনি বলেন, ‘নৌকা ভালোমতো দেখা হয়েছে, সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। নৌকার পাটাতন কিছুটা ছুটে গেছে। সেখানেও পা ঢুকিয়ে দেখেছি। এরপর আমরা আধাকিলোমিটার ভাটি এলাকা ডুব দিয়ে খুঁজব। এরপর ভাসমান তল্লাশি চালাব।’
নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় শিশুটির দেহ দূরে ভেসে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ডুবুরিদল।
ডুবুরিদের উদ্ধার অভিযান দেখতে পাড়ে ভিড় করে কয়েক হাজার উৎসুক মানুষ।
নিখোঁজ শিশুর মা বিলিকিস খাতুন বলেন, ‘আমার সোনা কই, আমি দেখব। নৌকায় এত মানুষ না উঠলে আমার সোনা ডুবে যেত না।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় নদী পার হতে গিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে গেলে নিখোঁজ হয় ১০ বছরের শিশু ফাতেমা খাতুন। সে শহরতলির বারোখাদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। যুগিয়া ক্যানালপাড়ায় তার বাড়ি। বাবার নাম রমজান আলী। ফাতেমা এসেছিলেন নানা বাড়িতে ঘুরতে।
এদিকে নৌকাডুবির পর থেকে কুষ্টিয়ায় ঘোড়াই ঘাটে খেয়া পারাপার বন্ধ রয়েছে।