বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিবেশীর সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি!

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:৪৯

সালমা বলেন, ‘আপনারা কেন এসেছেন আমি জানি। কুড়িগ্রামে আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এটিও, টিও সবাইকে ম্যানেজ করে আমি ছুটিতে আছি। শিক্ষা অফিসের বড়বাবু এসব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’

বেলা ১১টায় শফি আহমেদ স্বপনের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তিনি বাড়িতে নেই। স্ত্রী আলেয়া সালমাকে বলা হলে তিনি ফোনে স্বামীকে ডেকে আনেন।

প্রায় ২০ মিনিট পর শফি আহমেদ এলেন ছয় মাসের এক মেয়েশিশু কোলে নিয়ে। সঙ্গে আট বছরের আরেকটি শিশু। কোলের শিশুটিকে দেখিয়ে স্বপন দাবি করেন, এটি তাদের মেয়ে। এই মেয়েশিশুর জন্মের সময় শফি আহমেদ স্বপনের স্ত্রী সালমা ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।

নিউজবাংলার অনুসন্ধান বলছে, যে সন্তানকে দেখিয়ে আলেয়া সালমা মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন, সেটি তাদের নয়। এটি তাদের এক প্রতিবেশীর সন্তান। এই নাটকের সঙ্গে জড়িত স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) ও হিসাবরক্ষক।

সালমার স্বামী শফি আহমেদ স্বপন বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়কও। একাধিক মামলা রয়েছে তার নামে। এই কারণে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না।

সালমা এখন স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন। চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

নিউজবাংলার কুড়িগ্রাম ও বগুড়া প্রতিনিধি গত ৪ আগস্ট থেকে এই অনিয়মের অনুসন্ধান করেছে। অনুসন্ধান চলাকালে প্রত্যেকের বক্তব্য প্রকাশ্য ও গোপনে রেকর্ড করা হয়।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক খাদিজা সুলতানাসহ শিক্ষকের সংখ্যা ছয়। তাদেরই একজন আলেয়া সালমা শাপলা। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যালয়ে তার যোগদান।

২০১৯ সালে স্বপনকে বিয়ে করার পর বগুড়ায় চলে আসেন আলেয়া সালমা। এরপর করোনার প্রকোপে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। খোলার পরও চিকিৎসাসহ নানা অজুহাতে আলেয়া সালমা প্রায়ই ছুটি নিয়েছেন। সর্বশেষ তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করছেন।

চলতি বছরের ১৪ মার্চ সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ দেখিয়ে ১৩ মার্চ থেকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করেন আলেয়া সালমা। গর্ভকালীন সালমার শারীরিক কোনো পরিবর্তন বিদ্যালয়ের সহকর্মীদের কারও নজরে পড়েনি। তিনি ১৩ মার্চ কোলে সদ্যপ্রসূত শিশুসন্তান নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে হাজির হন। জমা দেন ছুটির আবেদন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শারমীন নামে এক নারী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আলেয়ার কোলের শিশুটি তার নয়, শারমীনের সন্তান।

মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা

১৩ মার্চ স্কুলে এলেও হাজিরা খাতায় সালমার উপস্থিতি ছিল না। নথিপত্রে দেখা গেছে, তিনি ১৩ মার্চ পর্যন্ত ভিন্ন কারণ দেখিয়ে ছুটিতে ছিলেন।

বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা জানান, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে থাকার সময় তিনি স্কুলে আসতেন। তবে বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ার পর থেকে তাকে আর স্কুলে আসতে দেখা যায়নি। সন্তান হওয়ার বিষয়ও তারা শুধু শুনেছেন, দেখেননি।

শফি আহমেদ স্বপন সালমার বর্তমান স্বামী। তার প্রথম স্বামী মাজেদুর রহমান মারা যান ২০০৬ সালে। প্রথম স্বামীর ঘরে আলেয়ার গর্ভে দুই সন্তান হয়। ছেলে মো. আশির হামিমের বয়স প্রায় ২৩। মেয়ে মুশরাত জাহানের বয়স ১৮।

পরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকার শহীদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলেয়া সালমার বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্বামী শহীদুলের সঙ্গে দাম্পত্যকালে আরও এক সন্তানের জন্ম দেন আলেয়া। এই সন্তানের নাম সাদিকুর রহমান। বয়স প্রায় আট বছর। সাদিকুর থাকে মা আলেয়া সালমার সঙ্গে বগুড়ায়।

এসব বিষয় জানিয়েছেন সালমার দ্বিতীয় স্বামী শহীদুল ইসলাম। তার সঙ্গে সালমার বিয়ে বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালে। পরে ২০১৯ সালে শফি আহমেদ স্বপনকে বিয়ে করেন সালমা।

শিক্ষক অনলাইন ডেটাবেজ যাচাই করে দেখা যায়, আলেয়া সালমা সেখানে শুধু প্রথম দুটি সন্তানের তথ্য দিয়েছেন। ছোট ছেলে সাদিকুরের নামে কোনো তথ্য দেয়া নেই।

কুড়িগ্রামের এসব তথ্যের ভিত্তিতে ১২ আগস্ট সকালে বগুড়ার গাবতলীর কাগইল ইউনিয়নে আলেয়া সালমার স্বামীর বাড়িতে যান প্রতিবেদক। বাড়ির মূল দরজা খোলা ছিল। প্রবেশ করে ডাক দিতেই আলেয়া সালমা এগিয়ে আসেন। স্বামীর নাম উল্লেখ করতেই জানান তিনি ছেলেকে নিয়ে বাইরে গেছেন। বসতে বলেন আলেয়া।

পরিচয় দিয়ে আসার কারণ জানাতেই সালমা অস্থির হয়ে ওঠেন। তৎক্ষণাৎ তিনি ঘরের ভেতরে ছুটে যান, নিয়ে আসেন ফোন।

সালমা বলতে থাকেন, ‘আপনারা কেন এসেছেন আমি জানি। ভাই ওখানে (কুড়িগ্রামে) কী হয়েছে আপনিও জানেন, আমিও জানি। কুড়িগ্রামে আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এটিও, টিও সবাইকে ম্যানেজ করে আমি ছুটিতে আছি। শিক্ষা অফিসের বড়বাবু এসব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’

সালমা দাবি করেন, তার চার সন্তান। এ বছরের ১ মার্চ তার মেয়ে সন্তান জন্মলাভ করে। অথচ তার ছুটির আবেদনে বলা হয় সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ১৪ মার্চ। এর কারণ জানতে চাওয়া হলে সালমা জানান, সন্তানের জন্ম আগে হলেও তিনি পরে ছুটি নিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করেই ১৪ মার্চ থেকে ছুটির আবেদন করেন তিনি। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সদ্যপ্রসূত সন্তান দেখিয়েছেন আলেয়া সালমা।

শফি আহমেদ স্বপন ও আলেয়া সালমার বাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা

কোথায় সন্তান জন্ম দিয়েছেন জানতে চাইলে সালমা বলেন, ‘বাসায় জন্ম হয়েছে। কোনো হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যাইনি। বাচ্চা হওয়ার পর জন্মের সার্টিফিকেট বা কোনো সনদও তুলিনি এখনও। তুলতে হবে। আমি এখনও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে ছুটির মেয়াদ শেষ হবে।’

এ পর্যায়ে স্বামী শফি আহমেদ স্বপন কথা বলেন, ‘সালমা আগে কুড়িগ্রামে ভাইয়ের বাসায় থাকত। সেখানে থাকতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয়। পরে কুড়িগ্রামেই বিয়ে হয়। সেই বিয়ে বিচ্ছেদ হলে প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর আগে আমি বিয়ে করি সালমাকে। সে আমার কাজিন হয় সম্পর্কে।’

স্বপন আরও বলেন, ‘সালমাকে তো আমি কুড়িগ্রামে চাকরি করতে দেব না। ওকে এলাকার স্কুলে পার করে নিয়ে আসব। ট্রান্সফারের সব কাজ রেডি। এখন ট্রান্সফার বন্ধ আছে। চালু হলেই বদলি হবে।’

ওই সময় কোলে থাকা কন্যাশিশুটির একটি ছবি নেয়া হয়। আলেয়ার এলাকার মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি এ ছবিটি শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, শিশুটি পাশের দেওনাই গ্রামের আনিছুর রহমান পাশা ও শারমীন দম্পত্তির।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বপনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে তার স্ত্রীর চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন আনিছুর রহমান পাশা। তবে চাকরির জন্য স্বপন তাকে শর্ত দেন, কুড়িগ্রামের স্কুলে গিয়ে ওই কন্যাশিশুকে সালমার শিশু হিসেবে দেখিয়ে আনতে হবে।

শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য গত ২৯ আগস্ট আবার কাগইলের দেওনাই গ্রামে আনিছুর রহমান পাশার বাড়িতে যান নিউজবাংলার প্রতিবেদক।

সেখানে পাশার স্ত্রী শারমীনকে শিশুটির ছবি দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে জানান, তার একটি চাকরির কথা হচ্ছে। এসব বিষয় জানাজানি হলে চাকরি নিয়ে সমস্যা হবে। এ সময় তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

পরে শারমীন বলেন, ‘শাপলা আমার আত্মীয়ের মতো। আমি ওখানে (কুড়িগ্রামে) বেড়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কার মনে কী কুমতলব আছে তা তো জানি না। আমার পরিচিতরা বাচ্চাকে দেখে কাছে নিতে চায়। বলে আপা দেন বেড়ায়ে নিয়ে আসি। আমি কি না করতে পারি?’

আনিছুর রহমান পাশা ও শারমীন। ছবি: নিউজবাংলা

পাশার স্ত্রী জানান, ছবিতে সালমার কোলে থাকা শিশুটি তার ছোট মেয়ে, নাম আশফিয়া। শিশুটিকে দেখতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সামনে আনতে রাজি হননি। এ বিষয়ে কোনো আলাপও আর বাড়াতে চাননি।

এসব কথা চলার সময় শারমীনের স্বামী আনিছুর রহমান পাশা বাড়িতে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চা নিয়ে গিয়ে কেউ যদি নিজের বলে তার গুষ্টি কিলাই। আজ থেকে আমার বাচ্চার বাড়ি থেকে বের হওয়া শেষ। আপনাদেরও দেখাব না।’

পাশা আরও বলেন, ‘মনে পড়ছে, এর মধ্যে একদিন আমি পুকুরে নামছিলাম। চেয়ারম্যান (স্বপন) গাড়ি নিয়ে এসে বলে মেয়েকে দাও তো। আমি বাচ্চাকে দিলাম। সে নিয়ে চলে যায়।’

ওই গ্রামের কয়েকজন প্রতিবেশীকে শিশুটির ছবি দেখালে তারাও নিশ্চিত করেন, এটি পাশার ছোট মেয়ে।

এদিকে আনিছুর রহমান পাশার বাড়ি থেকে চলে আসার পর পরই আলেয়া সালমা প্রতিবেদকের এক সহকর্মীকে ফোন দেন। ফোনে তিনি বলেন, ‘ওখানে আমি ডিপিও, এটিও সবার সঙ্গে কথা বলে কাগজপত্র দিয়ে ছুটি নিয়ে এসেছি। এসব নিয়ে নিউজ করবেন না। নিউজ করে কিছু হবে না।’

ফোনে সালমা আরও বলেন, ‘আমার এখান থেকে কুড়িগ্রামে গিয়ে চাকরি করা সম্ভব? সম্ভব না। আমি কাল (রোববার) জয়েন করে এসেছি। আমি আবার ছুটির আবেদন করেছি। ১৪ দিনের ছুটি নেব। এ ছুটি শেষ হলে আবার ১৪ দিনের ছুটির আবেদন করব।’

আলেয়া সালমা আরও বলেন, ‘যতদিন ট্রান্সফার না হবে, আমি ছুটি নিয়েই চলব। আমি একটা সরকারি চাকরি করি। আমাদের সিস্টেম আছে। চাকরিচ্যুত করার ক্ষমতা সরকারেরও নেই। এর জন্য ডাক্তার, হাসপাতালসহ যে যে কাগজ লাগবে, সব দেয়া হবে। আপনি এগুলা নিউজ-টিউজ এখন আর করেন না।’

স্কুলে জমা দেয়া সালমার মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদনের সঙ্গে দাখিল করা চিকিৎসকের সুপারিশপত্রটি ডা. সলিমুল্লাহ আকন্দের। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

সালমার মাতৃত্বকালীন ছুটির সুপারিশ। ছবি: নিউজবাংলা

যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করে ডা. সলিমুল্লাহ আকন্দ বলেন, ‘মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ থাকায় সুপারিশপত্র দিয়েছিলাম।’

প্রধান শিক্ষক খাদিজা সুলতানা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক আলেয়া সালমা নিয়মমাফিক ছুটিতে আছেন।’

উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী ও হিসাবরক্ষক (বড়বাবু) আজিজার রহমান তার বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, ‘আলেয়া সালমা তার প্রতিবেশী বোন হন। এর বেশি কিছু নয়।’

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু নোমান মো. নওশাদ আলী বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী শিক্ষকের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া হয়েছে। এখন কেউ যদি অন্যের শিশুকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়, তাহলে কিছু করার নেই। কেননা আমরা তো আর ডিএনএ পরীক্ষা করি না, করার উপায়ও নেই।’

নাগেশ্বরী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোবাশ্বের আলী বলেন, ‘যদি কেউ প্রতিবেশীর বাচ্চা নিয়ে এসে থাকে, আমি তো সেটি দেখতে পারব না। আমি বাচ্চাকে দেখেছি। প্রধান শিক্ষকের সুপারিশ ছিল। যদি এটি অসত্য হয়ে থাকে, তাহলে আমি ডিপিও স্যারের কাছে জানাব। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষক জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর