খুনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিএনপির সৃষ্টি উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সেনাসদস্যদের দীর্ঘদিন আটকে রেখে যে নির্যাতন-অত্যাচার করেছে তাদের মুখোশ বিশ্বদরবারে উন্মোচন করা হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে শুক্রবার বিকেলে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুম-খুনের রাজনীতির কালো অধ্যায় ‘গণফাঁসি ৭৭’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাদের বিচারের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল, তাদের বিচার শেষ না করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। ৪৫ বছর ধরে ভুক্তভোগীদের এই বোবাকান্নার বিচার বিএনপির কাছে চাই। সেই সঙ্গে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারও বিএনপির কাছে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুনের মধ্য দিয়ে বিএনপির সৃষ্টি, সেনাবাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখে যে নির্যাতন-অত্যাচার করেছে, তাদের মুখোশ বিশ্বদরবারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৭ সালে যাদের খুনি জিয়া নৃশংসভাবে প্রহসনের বিচারের নামে হত্যা করেছিলেন তারা সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অবাক করা বিষয় ছিল, তিনি এসব সদস্যের ফাঁসির রায় সকালে নাশতার টেবিলে সাইন করতেন।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষের শক্তি এই ঘটনার পুনঃতদন্তের মাধ্যমে পিতৃহারা সন্তানেরা বুকে চাপা ব্যথা নিয়ে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।’
জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে তার কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবিও জানান তিনি।
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক বলেন, ‘খুনি জিয়া ন্যূনতম বিচার তোয়াক্কা না করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। বিচারিক নিয়ম হচ্ছে, একজন আসামিকে ফাঁসির আগে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা। কিন্তু খুনি জিয়া তার কিছুই করেনি।’