উজানের ঢলের সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশছে পদ্মা নদীর প্রবাহে। প্রতিদিন বাড়ছে পদ্মার পানি। কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা বিপৎসীমার দিকে উঠে আসছে। গত ১০ দিনে পানির উচ্চতা বেড়েছে ১ মিটার ৭৭ সেন্টিমিটার।
কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াই নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী নিচু লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা তথ্যের দৈনিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ মিটার ২৫ সেন্টিমিটার। শুক্রবার সকালের পরিমাপে পানি প্রবাহিত হয় ১২ মিটার ৮৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। বিপৎসীমা স্পর্শ করতে আর বাকি ১ মিটার ৪২ সেন্টিমিটার। কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর বিপৎসীমা ১২ মিটার ৭৫ সেন্টিমিটার। এখানে এখন প্রবাহিত হচ্ছে ১১ মিটার ২৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
পাউবোর হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ১০ দিনে পানি বেড়েছে ১ মিটার ৭৭ সেন্টিমিটার। ২৩ আগস্ট হার্ডিঞ্জ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১১ মিটার ১৬ সেন্টিমিটার। ওই দিনই পানি বাড়ে ৪৫ সেন্টিমিটার। পরদিন বাড়ে ৩৭ সেন্টিমিটার। এরপর কয়েক দিন ৩ থেকে ৬ সেন্টিমিটার করে পানি বেড়েছে।
তিনি জানান, গত তিন দিনে পানি বাড়ার হার বেড়েছে। ৩১ আগস্ট পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার, ১ সেপ্টেম্বর ১৮ সেন্টিমিটার আর শুক্রবার বেড়েছে ১৫ সেন্টিমিটার। ভারত থেকে পানি আসছে বেশি। বৃষ্টির পানি এসেও নদীর প্রবাহে যুক্ত হচ্ছে।
পাউবো জানায়, পানি বাড়ার প্রভাবে পদ্মা ও গড়াই তীরের কিছু নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর ভেড়ামারা, মিরপুর, সদর, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।
পাউবো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, এ সময় পানি বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। বন্যা বা ভাঙনের ব্যাপারে খোঁজ রাখছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাউবোর প্রস্তুতি আছে বলে জানান তিনি।