পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নেত্রকোণায় বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খানকে প্রধান করে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নেত্রকোণা মডেল থানার এসআই খন্দকার আল মামুন বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ।
তিনি জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার পর পরই আটক ১২ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জেলা শহরের ছোটবাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।
জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হন। এতে শহরের একমাত্র প্রধান সড়কটিতে তখন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ জন্য পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে কার্যালয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু তারা সড়কে দাঁড়িয়েই সমাবেশ করতে থাকেন।
পরে পুলিশ তাদের সরাসরি বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্লাস্টিকের চেয়ার ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েলসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তখন লাঠিচার্জ করে এবং রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু দাবি করেন, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় পুলিশ বিনা কারণে এসে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করে।
‘এতে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন চৌধুরী, ছাত্রদলের নেত্রকোণা সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, পৌর ছাত্রদলের সহসভাপতি বাপ্পী, প্রান্ত পাঠান, অন্তর পাঠান, যুবদলের হানাসুল বারী ফারুক, বিএনপি নেতা আবদুল খালেক, গোলাম মোস্তফাসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’