পাথর লোড-আনলোডে সিএফটিপ্রতি এক টাকা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলছে তাদের এই কর্মসূচি। এতে দুদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে বন্দরের লোড-আনলোডের কাজ। তবে কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে ভারত থেকে যেসব ট্রাক চলে এসেছে, সেগুলো থেকে শ্রমিকরা শুক্রবার আনলোড করছেন।
লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলম মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে গাড়িগুলো ভারত থেকে এসে পড়েছে, সেগুলো থেকে পাথর নামিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের কর্মবিরতি স্থগিত হয়নি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে।’
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বন্দরে সাত শরও বেশি শ্রমিক লোড-আনলোডের কাজ করেন। দৈনিক হাজিরায় তারা প্রতি সিএফটি পাথর লোড-আনলোডে মজুরি পান ৩ টাকা। এক টাকা বাড়িয়ে সিএফটিপ্রতি ৪ টাকা মজুরির দাবিতে গত মাসে তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করেন তারা। সে সময় বন্দরের ডিপোর মালিকদের আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিত রাখেন।
এই শ্রমিক নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন সব জিনিসের দাম বাড়ছে। শুধু বাড়েনি আমাদের শ্রমের দাম। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব জিনিসের দাম বাড়ছে।
‘অনেক দিন দফায় দফায় চিঠি চালাচালির পর মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেও এর সুরাহা মেলেনি। মালিক সমিতির নেতারা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু এ সময় পার হয়ে গেলেও আমাদের বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা চাই আমাদের শ্রমের মূল্য আমাদের দেয়া হোক।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া বলেন, ‘মালিকপক্ষ থেকে আমাদের ৫০ পয়সা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। আমরা সিএফটিপ্রতি ১ টাকা করে বেশি পেলেই কাজ শুরু করব। আমাদের শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার জন্য মালিকরা নানা কৌশল করছে।’
নাকুগাঁও স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমরা শত সমস্যা থাকার পরও সিএফটিপ্রতি আট আনা করে বাড়ানোর কথা শ্রমিকদের জানিয়ে দিয়েছি। আশা করি তারা তাড়াতাড়ি কাজে ফিরবেন।’