মানিকগঞ্জে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির আড়াই হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লিটন বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে শহরের ভেতর বিএনপির মিছিল প্রবেশের চেষ্টা করলে খালপাড় এলাকায় তাদের থামানো হয় এবং শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের না যেতে অনুরোধ করা হয়।
কিন্তু পুলিশের অনুরোধ না মেনে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ইটপাটকেলের আঘাতে ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বাঁশি বাজিয়ে লাঠিচার্জ করা হয়। তাতেও কাজ না হলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুরের সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।’
১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। পৌর এলাকার সেওতা এলাকা থেকে জেলা বিএনপির একটি মিছিল শহরের দলীয় কার্যালয়ে আসার সময় শহরের খালপাড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হন।