চট্টগ্রাম থেকে সোমবার আসা সাতটি ট্রাকে ভেজাল সার রয়েছে বলে সন্দেহ হয় বগুড়া বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষের। তারা ট্রাকগুলো আটক করে পরীক্ষার জন্য সারের নমুনা পাঠায় রাজশাহীতে।
রাজশাহী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় ফলাফল জানায়। বলা হয়, ল্যাব পরীক্ষায় সারে ভেজাল মিলেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘টিএসপি সারের নমুনা ২৯ আগস্ট আমাদের কাছে আসে। সারগুলোতে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কেমিক্যাল ছিল না। এতে বোঝা যায় সারে ভেজাল মেশানো হয়েছে।
‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টিএসপি সারে মোট ফসফেট ওজনভিত্তিক ৪৬ শতাংশ হবে। আর পানিতে দ্রবনীয় অবস্থায় তা হবে ৪০ শতাংশ। তবে নমুনায় মোট ফসফেটের ওজনভিত্তিক পাওয়া গেছে ২৩ থেকে ৩৩ শতাংশ। পানিতে দ্রবনীয় অবস্থায় ছিল ১৮ থেকে ২৭ শতাংশ।’
- আরও পড়ুন: এবার ৭ ট্রাকে ৯৮ টন টিএসপি আটক
এই সারগুলো এসেছে চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড থেকে। বগুড়ায় আটকের পরপর বাফা গুদাম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয় দেশের একমাত্র ফসফেটিক সার কারখানাকে। পরদিন মঙ্গলবার কারখানার তিন কর্মকর্তা বগুড়া ছুটে আসেন। তারা নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে যান চট্টগ্রামে।
বাফা গুদাম কর্তৃপক্ষ জানায়, সারগুলো পরিবহন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন। সোমবার ও মঙ্গলবার মোট ১৮ ট্রাক সার আটক করা হয়। এসব ট্রাকে ২৫২ টন টিএসপি সার ছিল। বাকি ১১ ট্রাকে থাকা সারের নমুনা পরীক্ষায় ফল এখনও আসেনি।
এদিকে, আটক ট্রাকগুলোর চালক ও সহকারীসহ ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাব। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ এর কমান্ডার মো. তৌহিদুল মবিন খান।
তিনি জানিয়েছেন, বাফা গুদাম এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।