মুন্সীগঞ্জের গজরিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় বাবা ও ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেছে বখাটেরা। আহত জাহিদ আলম ও তার বাবা আলী আহমেদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে ইশামনি আক্তার বাওসিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। আজ দুপুরে সে স্কুল থেকে মামার বাসায় যাওয়ার পথে শিমুলিয়া গ্রামের বখাটে সাইমন, সজিব, জিয়া ও সায়েম আমার মেয়ের পথরোধ করে।
‘আমার মেয়র চিৎকার শুনে ওর নানা ও মামা এগিয়ে এসে তাদের বাধা দেন। এ সময় বখাটেরা ছুরি দিয়ে আমার বাবা ও ভাইকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। এখন তাদের চিকিৎসা চলছে।
‘এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।’
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা ঢাকা মেডিক্যাল থেকে বখাটেদের একজনকে আটক করেছি। সায়েম ওরফে নাঈম নামের এই তরুণকে গজারিয়া থানায় সোপর্দ করা হবে।
‘আর চিকিৎসাধীন আলী আহমেদকে জরুরি বিভাগ থেকেই ছেড়ে দেয়া হবে। তবে আহত অপরজন জাহিদ আলমকে ভর্তি দেয়া হবে।’