বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে কেউ কিছু বলবে না বলে আবারও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘কিন্তু তারা আন্দোলনের মাঠে নেমেই মিডিয়া কাভারেজ পেতে সিচুয়েশন তৈরি করছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্য দেন সংসদ নেতা। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার উল্লেখ করে দলীয় সদস্য রুমিন ফারহানা সরকারের কড়া সমালোচনা করার জবাবে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি; মিছিল করেন, আন্দোলন করেন। কিন্তু তাদের কথা শুনে মনে হয় তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে; তবু কিছু বলা যাবে না।’
‘যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে সেখানে কেউ কিছু বলছে না। এরা তো মাঠে নেমেই আগে কোথায় কাকে আক্রমণ করবে, কিভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে সেই চেষ্টা চালায়। তারা এটা করে কারণ এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। মিডিয়াতে কাভারেজ পাওয়ার জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটাবে যেন একটু ইয়ে পায়।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য। তবে পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে তার নিজেকে বাঁচানোর অধিকার আছে। সেটা কি নেই? নাকি আক্রান্ত হলেও নিজেকে রক্ষার কোনো অধিকার পুলিশের থাকবে না?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রুমিন ফারহানা ভোলার ঘটনা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে গেল। বাংলাদেশে কী হত? পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হল, খুনিদের আরও উৎসাহিত করা হল। বিচারের হাত থেকে রেহাই দেয়া হল। সেটা স্মরণ রাখা উচিত।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে সংসদ নেতা বলেন, ‘এখন গুম-খুন নিয়ে কথা হয়। বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর কী ঘটেছে? ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার লোক টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিজেল বেশি দামে কিনে অল্প মূল্যে দিচ্ছি। প্রতিটি খাতে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। কারণ কৃষক উৎপাদনটা বাড়াবে। দুই কোটি কৃষক উপকারভোগী কার্ড পায়। অর্থনীতির প্রতিটি খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি। যারা সাধারণ মানুষ, তাদের জন্য। যারা উচ্চবিত্ত তারা হয়তো একটু অখুশি হতে পারেন।
‘সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকেই বেশি দৃষ্টি দিয়ে থাকি। এটাই আমার নীতি এবং সেটাই আমি করে যাচ্ছি। হতাশাজনক কথা ছড়িয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো মোটেই উচিত নয়।’