জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা করতে স্পিকার বরাবর চিঠি দিয়েছেন দলের সংসদ সদস্যরা। একইসঙ্গে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্পিকারের কার্যালয়ে চিঠিটি পৌঁছে দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
জাপা মহাসচিব এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিউজবাংলাকে জানান, ‘জাতীয় পার্টির মোট ২৪ জন সংসদ সদস্য ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর স্পিকারের কাছে ওই চিঠি জমা দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চিঠিতে রওশন এরশাদ ও তার ছেলে সাদ এরশাদ এমপি স্বাক্ষর করেননি।
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা পরিবর্তনে এই চিঠি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, ‘উনি (রওশন এরশাদ) দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। উনি তো সংসদে সময় দিতে পারছেন না।’
রওশন এরশাদ বুধবার দলের কাউন্সিল আহ্বান করায় এমন পদক্ষেপ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে ঘটনার সঙ্গে এই চিঠির কোনো সম্পর্ক নেই। দীর্ঘদিন ধরেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছিল। তবে হ্যাঁ, দলের গঠনতন্ত্র মতে রওশন এরশাদ কাউন্সিল ডাকতে পারেন না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে না জানিয়ে বুধবার দলের কাউন্সিল আহ্বান করেন রওশন এরশাদ। পরদিন বৃহস্পতিবার বনানীতে নিজের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডেকে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন জি এম কাদের। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
স্পিকারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে বিরোধী দলীয় নেতা রওশনকে বাদ দিয়ে জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে অনুরোধ করা হয়। বর্তমানে জিএম কাদের বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করছেন। এই চিঠির মাধ্যমে জাতীয় পার্টিতে বিভক্তি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল।