ট্রেনের টিকিট দুবার বিক্রির দায়ে সেবা প্রদানকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সহজডটকমকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
সহজের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম ও কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
যাত্রীর প্রতি অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগে বুধবার সহজডটকমকে জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
জরিমানার এই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে সহজ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
বিশ্বজিৎ সাহা নামে এক যাত্রীর অভিযোগের পর বুধবার সহজকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর আগেও টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম পাওয়ায় সহজডটকমকে জরিমানা করেছিল সংস্থাটি।
জরিমানার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর এক বিবৃতিতে সহজ উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, তারা সরাসরি রেলের টিকিট বিক্রি করে না; শুধু রেলকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
প্রায় দুই বছর আগে রেলের আহ্বান করা দরপত্রে সিএনএস বিডির পরিবর্তে টিকিট ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয় সহজ লিমিটেড। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি রেল ভবনে সহজ ও রেলের মধ্যে চুক্তি হয়। আগামী পাঁচ বছর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে সহজ।
সিএনএস বিডির বিরুদ্ধে রেলের টিকিট বিক্রি নিয়ে নানা অনিয়ম ছিল। তবে সহজের রেলে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েই ওঠে অনিয়মের অভিযোগ। শুরুতেই গোলমাল পাকিয়ে ফেলা সহজকর্মীদের বিরুদ্ধে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে সংস্থাটি।
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি রেলের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার পর গত জুলাইয়ে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
রনির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সে সময় সহজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অবশ্য পরে উচ্চ আদালত এ জরিমানা স্থগিত করে।