দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ীয় করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দাবি করেছেন, বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি মানেই পুলিশের ওপর হামলা।
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন, যাকে যুবদল কর্মী বলছে বিএনপি।
এ ঘটনায় রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, সরকার পতনই হবে তাদের প্রতিশোধ।
অন্যদিকে কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন এবং নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর এখন প্রতিপক্ষ হিসেবে পুলিশকে দাঁড় করিয়েছে।’
তিনি তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন।
বিএনপি আবার ‘আন্দোলন, আন্দোলন খেলা’ শুরু করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেই তো সহিংসতা আর সন্ত্রাস এবং জনগণের সম্পদ নষ্ট ও নিজেদের মধ্যে মারামারি করা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির যদি জনস্বার্থে আন্দোলন করে এবং কর্মসূচি যদি শান্তিপূর্ণ হয় তাহলে সরকার বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করবে।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের অবাধে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দলের মহাসচিবের অভিযোগের জবাবে কাকে, কোথায় গ্রেপ্তারি, হয়রানি করা হয়েছে তা জানতে চান।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাই বলে কি অপরাধীদের ধরা হবে না?’
অপরাধী-সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজেদের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না, আর বিএনপি সমর্থিত কোনো অপরাধী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হলে অভিযোগ কেন?’
এ সরকারের আমলে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের অসংখ্য নজির আছে উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে, রাজনৈতিকভাবে কোথাও কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
‘অপরাধী মানেই দুর্বৃত্ত, দুর্বৃত্ত যে দলেরই হোক শাস্তির আওতায় আনতেই হবে।’
‘এবার আন্দোলনের সুনামি হবে’- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেন তা কি বিশ্বাস করেন? সুনামি তো দূরের কথা, বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ারই তো আসে না।
‘বিএনপির রাজনীতিতে এখন ইউরোপের মতো প্রচণ্ড খরা। ঢেউ তারা টেমস নদীর পাড় থেকে গুলশান অফিসে তুলতে পারেন। কিন্তু পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পলি বিধৌত বাংলায় নয়।
‘বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক সোশ্যাল মিডিয়া আর গণমাধ্যমে যতটা গর্জে, বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।’