মানিকগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি হাতে মহড়া দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। শহরের বিভিন্ন সড়কে মহড়া দেয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটার সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে।
মহড়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিপক্ষে সকাল ১০টার দিকে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কলেজ প্রাঙ্গণে ফেরে। মিছিলের মধ্যে ছাত্রলীগের ২০-২৫ নেতাকর্মীরা হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ছিল। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা পুলিশের সামনেই মহড়া দেন। মিছিল শেষে ফেরার পথে বিএনপি কর্মী ভেবে কয়েকজনকে মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নাদিম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ছিল আমাদের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি যেন ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করতে না পারে, ওইটার বিপক্ষে আমরা, এই আরকি।’
কর্মসূচিতে জেলা, কলেজ, উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছিলেন বলেও তিনি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত মানিকগঞ্জে জ্বালাও-পোড়াও করবে, সাধারণ মানুষের ক্ষতি করবে, সেটা ছাত্রলীগ হতে দেবে না। আমাদের কোনো নেতাকর্মী কাউকে মারধর করি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরি না, কিন্তু আমরা রুখে দাঁড়াই। শেখ হাসিনা আমাদের হাতে কলম তুলে দিছেন। তারেক জিয়ার মতো অস্ত্র তুলে দেন নাই।’
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁনসহ সদর থানার ওসির মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মানিকগঞ্জ শহরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা করার কথা ছিল জেলা কমিটির।
শহরজুড়ে মিছিলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাশিউর রহমান কম্পন ও সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নাদিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।