খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রাজধানীর আজিমপুরে বৃহস্পতিবার সারা দেশে শুরু হওয়া খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের চালের কোনো সংকট নেই। প্রতিটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ চাল রয়েছে। চালে কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সারা দেশে শুরু হয়েছে খোলাবাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম। প্রথম দিনে জেলা পর্যায়ে ওএমএস ও টিসিবির ভোক্তাদের মাঝে চাল বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে সকালে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকরা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতি মাসে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। ভবিষ্যতে আরও গম ও চাল আমদানি করা হবে।’
মিলে কী দরে চাল বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে আড়তে তারা কী দরে বিক্রি করছে এবং আড়ত থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতারা কত লাভে বিক্রি করছে এটা মনিটর করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব না বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।
দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কেন বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে- এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। চাষিরা আম, আনারসসহ বিভিন্ন ফসলের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছেন। এ কারণে চাল ও গম আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, সরু চাল যাতে অবাধ আমদানি হয় সে জন্য সরকার ট্যাক্স কমিয়েছে। দ্রুত বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হবে। ওএমএসের মাধ্যমে জনপ্রতি পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে। আর ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল দেয়ার পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি চাল ফ্যামিলি কার্ডধারীরা কিনতে পারবেন।
আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এই তিন মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিতরণ করা হবে।
এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার হাসিবুর রহমান মানিক উপস্থিত ছিলেন।