বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিচারককে নিজেকে স্বাধীন মনে করতে হবে’

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৫

আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ তার অবসরপূর্ব বিদায়ী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমার এই ৪১ বছরের বিচারিক জীবনে এ বিশ্বাসে আমি উপনীত হয়েছি যে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কাগজে-কলমে নিরঙ্কুশভাবে বাস্তবায়ন হলেও একজন বিচারক যদি তার মননে, চলনে, বিশ্বাসে নিজেকে স্বাধীন মনে না করেন, তবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদূরপরাহত।’

আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ মনে করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কাগজে-কলমে নিরঙ্কুশভাবে বাস্তবায়ন হলেও একজন বিচারক যদি নিজেকে স্বাধীন মনে না করেন, তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদূরপরাহত।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্টে পেশাগত জীবনে শেষ কর্মদিবসে তাকে দেয়া সংবর্ধনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের আরও চার বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ তার বিদায়ী বক্তব্যে বলেন, ‘আমার এই ৪১ বছরের বিচারিক জীবনে এ বিশ্বাসে আমি উপনীত হয়েছি যে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কাগজে-কলমে নিরঙ্কুশভাবে বাস্তবায়ন হলেও একজন বিচারক যদি তার মননে, চলনে, বিশ্বাসে নিজেকে স্বাধীন মনে না করেন, তবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদূরপরাহত।’

তিনি বলেন, ‘আজকের এই শেষ দিনে এ আশা নিয়েই বিচারাঙ্গন থেকে বিদায় নিতে চাই যে একজন বিচারক বিচারকাজে সম্পূর্ণ স্বাধীন– এই মূলমন্ত্র ধারণ করেই বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন আর আপনারা অর্থাৎ বিজ্ঞ আইনজীবীগণ সে কাজে সহযোগিতা করবেন।

‘আমার ৪১ বছরের বিচারিক জীবনে আমি বহুবার বিদায় নিয়েছি। কিন্তু কর্মজীবন থেকে আজ আমার শেষ বিদায়। এরপর শুরু হবে আমার নতুন জীবন। আপনারা সবাই প্রার্থনা করবেন আমার জীবনের শেষ অধ্যায়টি যেন আমি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে সহজ-সরল, আনন্দময় আর সুস্থভাবে কাটিয়ে অনির্ধারিত শেষ বিদায়কে আলিঙ্গন করতে পারি।’

এর আগে সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ আইন বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় থেকে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৮১ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি বিচার বিভাগে মুনসেফ হিসেবে বিচারিক জীবনে যুক্ত হন। এরপর ১৯৯৮ সালের ১ নভেম্বর জেলা জজ হিসেবে পদন্নোতি লাভ করেন। ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী হন। এরপর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

আগামী ৯ অক্টোবর তিনি আনুষ্ঠানিক বিচারিক কাজ থেকে অবসরে যাবেন। ওইদিন আদালত বন্ধ থাকায় আজকেই তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর