বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্দের ভালো হিসেবে আ.লীগার হয়েছি: মান্নান

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৩

‘বাংলাদেশের বৈষম্য কমাতে কম বয়সে একবার মনে হয়েছিল হো চি মিন বা মাও সেতুং এর মতো হয়ে যাই। কিন্তু সেটা আমি পারিনি। তখন আমি চিন্তা করেছি মন্দের ভালো যে দল আছে, সেটাতে আমি যাই। সেই দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের স্বপ্ন ছিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সেতুং বা ভিয়েতনামের নেতা হো চি মিনের মতো হবেন। কিন্তু সেটা হতে না পারায় মন্দের ভালো হিসেবে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগকে।

ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আয়োজক ছিল এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ। এসডিজি বাস্তবায়নে যুব সমাজের চিন্তাধার বুঝতে দিনব্যাপী এই আয়োজনে যান মন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল ও ইউএনডিপির নতুন বাংলাদেশ প্রধান স্টেফান লিলার।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের যুবকদের বড় একটি অংশ বেকার। এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

আলোচনায় মন্ত্রী তোলেন বৈষম্য দূরীকরণ ও সুশাসন প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে, যেখানে সুশাসন, মানবাধিকার অবদমিত হচ্ছে সেখানে আপনি বসে আছেন কেন? এত কথা বার্তা বলেন কেন?

‘আমার ব্যাখ্যা, আমি যেহেতু স্বীকার করছি আমি একা বৈষম্য কমাতে পারব না, আমি যদি সুবিধাবঞ্চিত মানষের জন্য একটু কিছু করতে পারি, তাহলে আমার জীবন স্বার্থক বলব না?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে মান্নান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তিনি এই মুহূর্তে মন্দের ভালো, আবার বলছি কিছুটা ন্যায়বিচার করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বৈষম্য কমাতে কম বয়সে একবার মনে হয়েছিল হো চি মিন বা মাও সেতুং এর মতো হয়ে যাই। কিন্তু সেটা আমি পারিনি। তখন আমি চিন্তা করেছি মন্দের ভালো যে দল আছে, সেটাতে আমি যাই। সেই দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

বৈষম্য কমাতে আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যক্রমও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে বৈষম্য কমাতে চেষ্টা করছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, ৯৮ ভাগ ঘরে আমরা সুপেয় পানি পৌঁছে দিয়েছি, সব বাচ্চার জন্য ভালো মানের স্কুল তৈরি করতে পেরেছি, শিক্ষক দিয়েছি।’

সুশাসন এর চেয়ে বৈষম্য কমানো জরুরি বলেও মনে করেন মান্নান। বলেন, “আমি যখন গ্রামে যাই, তারা আমার কাছে কী চায়? আমার কাছে তারা ভাতার কার্ড চায়। তারা বলে, ‘আমারে একটি ভালো চাপকল বা টিউবওয়েল দেন বা ভালো পায়খানা বানিয়ে দেন’। এইগুলো তারা চায়।

“আমিও চাই সুশাসন। কিন্তু গ্রামের মানুষ জানেই না সুশাসন কী। তারা চায় থানার ভালো ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তারা ভালো তহশিলদার চায়, তারা একজন ভালো ইউনিয়ন কাউন্সিল সদস্য চায়, যার কাছে গিয়ে চেয়ার না হলেও পিড়িতে বসতে পারবে।”

এ বিভাগের আরো খবর