বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষমতায় ফিরলে জিয়া হত্যার বিচার: ফখরুল

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৫২

১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর রাষ্ট্রক্ষমতা বিএনপির হাতেই ছিল। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের আগে এই বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এরশাদের পতনের পর বিএনপি ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ বছর এবং এরপর ২০০১ থেকে আরও পাঁচ বছর সরকারে থাকলেও জিয়া হত্যার তদন্ত ও বিচারে আগ্রহ দেখায়নি। বিএনপির নিস্পৃহতা নিয়ে বরাবর প্রশ্ন তুলে আসছে।

বিএনপি ক্ষমতায় ফিরতে পারলে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য কমিশন গঠন করার কথা জানান তিনি। পাশাপাশি ষড়ন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার ঘোষণাও দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দলটির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ কথা বলেন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর রাষ্ট্রক্ষমতা বিএনপির হাতেই ছিল। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের আগে এই বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে সেনাবাহিনীতে সামরিক আদালত গঠন হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু মানুষকে শাস্তি দেয়া হয়।

এরশাদের পতনের পর বিএনপি ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ বছর এবং এরপর ২০০১ থেকে আরও পাঁচ বছর সরকারে থাকলেও জিয়া হত্যার তদন্ত ও বিচারে আগ্রহ দেখায়নি। বিএনপির নিস্পৃহতা নিয়ে বরাবর প্রশ্ন তুলে আসছে।

ফখরুল বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা একটা নতুন কমিশন গঠন করব। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ষড়ন্ত্রকারী তাদের খুঁজে বের করব।'

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সারা দেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে একজন মারা গেছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই হত্যা করে, খুন করে, গুম করে আমাদের আন্দোলন নস্যাৎ করা যাবে না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া বিএনপির সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ। কারণ অনির্বাচিত সরকার হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন করে জনগণের ন্যায় দাবির আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়।

‘কিন্তু আমাদের পরিষ্কার কথা, জনগণের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন, হত্যা, গুম, খুন করেও নস্যাৎ করা যাবে না। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জনগণের বিজয় হবেই।’

সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় ১৯৭৮ সালের আজকের দিনে জিয়াউর রহমান গঠন করেন বিএনপি। ফখরুলের ভাষায়, এই দল গঠনের মধ্য দিয়ে সেদিন বাংলার রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করেছিলেন। সূচনা করেছিলেন মুক্তবাজার অর্থনীতি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতা।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর