ডিজেলের দর লিটারে ৫ টাকা কমানোর পর বাসভাড়া কিলোমিটারে ৫ পয়সা কমানো হলেও নৌপথে ভাড়া কমার হার তিন গুণ।
লঞ্চে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া কমানো হয়েছে ১৫ পয়সা করে। সেই সঙ্গে সর্বনিম্ন ভাড়া করানো হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। নতুন এই ভাড়া রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।
লঞ্চের ভাড়া বাসভাড়ার মতো দূরত্বভেদে একই থাকে না। এখানে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে ভাড়ার হার থাকে এক আর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের বেশি হলে ভাড়ার হার হয় কম।
১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য জনপ্রতি ভাড়া ৩ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা।
আর ১০০ কিলোমিটারের পর প্রতি কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা।
জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৩৩ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ৩০ টাকা।
গত ৫ আগস্ট ডিজেলের দর লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর ১০০ কিলোমিটারের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ৭০ পয়সা আর পরের ১০০ কিলোমিটারে বাড়ানো হয় ৬৫ পয়সা।
তবে যে হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেক কম ভাড়া আদায় চলছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ডেকে ৪৫৮ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ৮৩৬ ও ডাবল কেবিন ৩ হাজার ৬৫০ টাকা ঠিক করে দেয়।
তবে ডেকে ৪০০, সিঙ্গেল কেবিনে ১ হাজার আর ডাবল কেবিনে ২ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। আর এই ভাড়া নিয়েই লঞ্চগুলো লাভে আছে বলে জানাচ্ছেন মালিক ও কর্মীরা।
লঞ্চে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাত থেকে ডিজেলের দর লিটারে ৫ টাকা কমানো হয়।
এ কারণে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করার সময়ও আগে অতিরিক্ত নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি।