বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার রায় দেয় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
অন্যদিকে চাকরিচ্যুত নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, প্রবীর নিয়োগী, সালাহ উদ্দিন দোলন ও কামরুল হক সিদ্দিকী।
প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর গত রোববার শুনানি হয়। এরপর রায়ের দিন ঠিক করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়। তাদের মধ্যে অনুত্তীর্ণ ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতরা আপিল করেন। ওই আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আলাদা চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়।