বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জরিমানার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাচ্ছে সহজ

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ২১:০৭

বিশ্বজিৎ সাহা নামে এক যাত্রীর অভিযোগের পর বুধবার সহজকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

একটি টিকিট দুই যাত্রীর কাছে বিক্রির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জরিমানার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাচ্ছে রেলওয়ের অনলাইন টিকিট বিক্রির অংশীদার প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকম।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তারা সরাসরি রেলের টিকিট বিক্রি করে না, শুধু রেলকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।

বিশ্বজিৎ সাহা নামে এক যাত্রীর অভিযোগের পর বুধবার সহজকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এর আগেও টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম পাওয়ায় সহজ ডটকমকে জরিমানা করেছিল সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে বুধবার বিকেলে বিবৃতি দিয়ে সহজ দাবি করে, ভোক্তা অধিদপ্তরের করা জরিমানা নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবে। জরিমানা করার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় সেখানে।

বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং কার্যক্রম ও সেবাবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে বিভিন্ন সময় অভিযোগ জমা হচ্ছে। ফলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে টিকেটিং-বিষয়ক চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভিকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

সহজ দাবি করে, ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ভোক্তাদের কাছে সরাসরি কোনো টিকিট বিক্রি করে না। যাত্রীরা টিকিট কেনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত রেলসেবা অ্যাপ এবং অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। অর্থাৎ এই টিকিটগুলো মূলত বাংলাদেশ রেলওয়ে বিক্রি করে। এখানে আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকি।’

বিশ্বজিৎ শাহার অভিযোগের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে আমরা ভোক্তার কাছ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং ওয়েবসাইটে উল্লেখিত ই-মেইলে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমাদের সেই অভিযোগের ব্যাপারে অবহিত না করেই পরে ভোক্তা অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা কার্যালয়ে অভিযোগটি করা হয়; যা শুনানি শেষে রায় দিয়েছে। আমরা এখন রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

প্রায় দুই বছর আগে রেলের আহ্বান করা দরপত্রে সিএনএস বিডির পরিবর্তে টিকিট ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয় সহজ লিমিটেড। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেল ভবনে সহজ ও রেলের চুক্তি হয়। আগামী পাঁচ বছর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে সহজ।

সিএনএস বিডির বিরুদ্ধে রেলের টিকিট বিক্রি নিয়ে নানা অনিয়ম ছিল, তবে সহজের রেলে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েই ওঠে অনিয়মের অভিযোগ। শুরুতেই গোলমাল পাকিয়ে ফেলা সহজকর্মীদের বিরুদ্ধে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে সংস্থাটি।

এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি রেলের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার পর গত জুলাইয়ে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

রনির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সে সময় সহজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অবশ্য পরে উচ্চ আদালত এ জরিমানা স্থগিত করে।

এ বিভাগের আরো খবর