সর্বশেষ আদমশুমারির প্রতিবেদনে দেশে জনসংখ্যা যত এসেছে, মোবাইল ফোনের গ্রাহক তার চেয়ে প্রায় দুই কোটি বেশি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দেশে চারটি মোবাইল ফোন কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ৪০ লাখ ১ হাজার।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন বলে ঘোষণা দেন।
গ্রাহক সংখ্যা বলতে বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড সাবস্ক্রিপশনকে বোঝানো হয়েছে। যারা গত তিন মাসে অন্তত একবার সেই মোবাইল নেটওয়ার্কে সক্রিয় ছিলেন, তাদেরকেই গ্রাহক ধরা হয়েছে।
জুলাইয়ের শেষে সদ্যসমাপ্ত আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
অর্থাৎ জনসংখ্যার চেয়ে মোবাইল গ্রাহক বেশি ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪২ হাজার ৩৮৪ জন। মন্ত্রী জানান, গ্রাহকের তুলনায় সিমের সংখ্যা আরও বেশি।
মন্ত্রীর সংসদে দেওয়া তথ্যানুযায়ী গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৮ কোটি ৪০ লাখ জন আর সিমের সংখ্যা ১১ কোটি ১৪ লাখ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রবি আজিয়াটার গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৪৮ লাখ, সিমের সংখ্যা ১০ কোটি ২৬ লাখ।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সিমের সংখ্যা ৮ কোটি ২৬ লাখ।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি টেলিটকের বাংলাদেশ লিমিটেডের গ্রাহক সংখ্যা ৬৭ লাখ ১ হাজার, সিমের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখ।
মোবাইল ফোনের কলরেট আপাতত পুনর্নির্ধারণের পরিকল্পনা নেই বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলোতে যে কলরেট প্রচলিত রয়েছে তা ২০১৮ সালের মার্কেট পর্যালোচনা, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা।