নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও আরেক সন্তানকে পুকুরে ফেলে হত্যাচেষ্টার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক যুবক। তাকে আটক করে পুলিশে দেন প্রতিবেশীরা।
ডোমারের বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের নিমোজখানা এলাকায় বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ওই যুবকের নাম জিয়ারুল ইসলাম। তিনি এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন।
ডোমার থানার ওসি মাহমুদ-উন-নবী এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি স্থানীয়দের বরাতে জানান, দুপুরে জিয়ারুল তার স্ত্রী রত্না বেগম ও তিন বছরের শিশু ইয়াসমীনকে হত্যা করে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর আগে ১৪ মাস বয়সী আরেক সন্তানকে পুকুরে ফেলে দিতে যান জিয়ারুল। তখন বাধা দিতে গেলে শাশুড়ি বিলকিস ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেন তিনি।
আশপাশের লোকজন তাকে ও ছোট সন্তানটিকে উদ্ধার করে পুলিশে দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বেঁচে যাওয়া শিশু ও তার নানিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
বোড়াগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য অশ্বনী কুমার রায় জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন জিয়ারুল।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জিয়ারুলকে আটক দেখানো হয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তায় তার চিকিৎসা চলছে।