কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সোয়াগাজী সাহেববাড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একই সময় সভা ডাকায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস ঘোষ।
তিনি জানান, বুধবার বেলা ৩টায় সোয়াগাজী সাহেববাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে উপজেলা বিএনপি। সেখানে একই সময় কর্মী সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই এলাকায় বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সরেজমিন সোয়াগাজী সাহেববাড়ি এলাকায় দেখা যায়, সেখানে পুলিশ মহড়া দিচ্ছে। সভাস্থলের আশপাশে কেউ জড়ো হচ্ছে কি না, তা দেখছেন ইউএনও।
এর আগে বুধবার সকালে নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের টিয়ার শেলে ২৫ স্কুলশিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তারা নাঙ্গলকোট এআর মডেল সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান মেহবুব জানান, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে বুধবার সকালে নাঙ্গলকোটে বিক্ষোভে নামে বিএনপি। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে সকাল থেকেই উপজেলার পৌর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া যায়। প্রায় ঘণ্টা তিনেক বিএনপির দখলে থাকে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক। এ সময় লোটাস চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের ছবি ভাঙচুর করা হয়।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা এআর স্কুলের পাশে অবস্থান নেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এতে আতঙ্ক ও টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বেলা দেড়টার পর পৌর এলাকার ওইসব সড়ক দখলে নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
ইউএনও রায়হান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে গণ্ডগোল শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এআর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আতঙ্কে ও টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
‘এ সময় ওসিও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। আমার ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।’