বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিষ্টাচার শেখাবেন না: ফখরুলকে হাছান

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২২ ১৭:১৮

‘মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর শিষ্টাচারের কথা বলেন, শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না।‌ শিষ্টাচার খালেদা জিয়া ও আপনাদের শেখা উচিত।’

বিএনপির কাছ থেকে শিষ্টাচার শেখার কিছু নেই বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, ‘শিষ্টাচার খালেদা জিয়া ও আপনাদের শেখা উচিত।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য রেখেছেন, তার জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমি বলব, খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপি নেতাকর্মীরা শিষ্টাচার জানেন না। তাদের শিষ্টাচার শিখতে হবে।’

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। শোকাবহ ১৫ ও ২১ আগস্টের স্মরণে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

একই দিন বিএনপি কার্যালয়ে এক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘কী দুর্ভাগ্য এই দেশ ও জাতির, যে দেশে একটি অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় বসে আছেন যার ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই! তিনি গতকাল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে ধরনের উক্তি করেছেন, আমরা ভাবতেও পারি না প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক এই ধরনের উক্তি কেউ করতে পারে। এর একটাই কারণ- প্রতিমুহূর্তে তিনি খালেদা জিয়াকে হিংসা করেন, তাকে সহ্য করতে পারেন না।’

বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়।

খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের দণ্ড নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে তাকে ঘরে ফিরতে দেয়া যথেষ্ট উল্লেখ করে বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে যেতে না দেয়ার কথা বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এখন উনি (খালেদা জিয়া) সেজেগুজে মেকআপ নিয়ে, একেবারে ভ্রু-ট্রু এঁকে হাসপাতালে যান, আর এদিকে আবার তার ডাক্তাররা রিপোর্ট দেয় খুবই খারাপ অবস্থা, একেবারে নাকি যায়। তার লিভার নাকি পচে শেষ। লিভার সাধারণত পচলে মানুষ কী বলে, সেটা আমি মুখ দিয়ে বলতে চাই না। কী খেলে তাড়াতাড়ি লিভার পচে?’

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল যে বক্তব্য রেখেছেন, তার জবাবে হাছান বলেন, ‘আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন খালেদা জিয়ার পুত্র কোকোর মৃত্যুতে দেখা করতে গিয়েছেন, তাকে ঢুকতে না দিয়ে ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন, এটা কী ধরনের শিষ্টাচার?

‘প্রধানমন্ত্রী যখন খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন কথা বলার জন্য, তখন তিনি (খালেদা জিয়া) যে ভাষায় কথা বলেছেন সেটা কী ধরনের শিষ্টাচার?

“২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী আহত হলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বললেন, ‘তাকে কে মারতে যাবে? তিনি সঙ্গে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন।’ এটা কী ধরনের শিষ্টাচার?

‘মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর শিষ্টাচারের কথা বলেন, শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না।‌ শিষ্টাচার খালেদা জিয়া ও আপনাদের শেখা উচিত।’

গুম, খুন নিয়ে সব সংবাদই প্রকাশ করুন

সরকারের বিরুদ্ধে গুম-খুনের বিষয়ে বিএনপি যে অভিযোগ করে আসছে, সেটি নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, পত্রিকায় সব কিছুই আসা দরকার।

হাছান বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে অবশ্যই সংবাদ পরিবেশিত হবে। কিন্তু তাদের আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করা, দেশের ইতিহাসে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জোয়ানদের ধরে নিয়ে গিয়ে কোনো বিচার ছাড়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালানোর জন্য ২৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা এবং সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করা…

‘২১ আগস্টের হামলা নিয়ে সংসদে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সংসদে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনার জন্য বলেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া সেটি করতে দেন নাই। ২৪ জন নিহত হলেন, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আহত হলেন, তার পরও নিন্দাপ্রস্তাব আনতে দেন নাই, এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?

‘জিয়াউর রহমান যাদের রাতের অন্ধকারে কোনো বিচার ছাড়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, তাদের পরিবার রাস্তায় রাস্তায় মানববন্ধন করছে। ফাঁসি দেয়ার তিন মাস পরে রায় হয়েছিল, বিচারের আগেই ফাঁসি দিয়েছিল, এসব হলো সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিএনপির যে কয়জনের তালিকা নিয়ে কথা বলে, তাদের‌ ১০ জন এরই মধ্যে ফেরত আসছে। ২৩-২৪ জন খুনের মামলার আসামি, ডাকাতি মামলার আসামি। এখন দেখা যাচ্ছে বিএনপি সন্ত্রাসীদের পক্ষে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। তাদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। কিছু কিছু হারিয়ে গেছে ২০ বছর আগে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে। আমাদের সরকার সেটিকেও অ্যাড্রেস করছে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম।

এ বিভাগের আরো খবর